হাফলং (অসম), ২৫ এপ্রিল (হি.স.) : অসমে শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ব্যপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অথচ অন্যান্য জেলা থেকে পিছিয়ে ডিমা হাসাও জেলা। পাহাড়ি এই জেলায় শিক্ষার্থীদের জন্য নেই উচ্চ শিক্ষার কোনও ব্যবস্থা। উচ্চশিক্ষার জন্য এখানকার ছাত্রছাত্রীদের যেতে হয় বাইরে। এমতাবস্থায় ডিমা হাসাও জেলার গ্রামঞ্চলে যে সকল মানুষ জুম ক্ষেত বা হাজিরা করে দিন যাপন করছেন তাঁরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জন্য বাইরে পাঠাতে পারছেন না। এতে অনেক ছাত্রছাত্রী মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। বলেছেন ডিমাসা স্টুডেন্টস্ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক প্রমিত সেংইয়ং।
আজ শুক্রবার হাফলঙে জেলা কমিশনার কার্যালয়ের সামনে ডিমাসা স্টুডেন্টস্ ইউনিয়ন ডিমা হাসাও জেলায় মেডিক্যাল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনের দাবিতে ধরনা কার্যসূচি পালন করেছে। ধরনাস্থলে দাঁড়িয়ে প্রমিত সেংইয়ং বলেন, ২০১১-১২ সালে তৎকালীন রাজ্য সরকার অসমে ২১টি পলিটেকনিক স্থাপন করার অনুমোদন জানিয়েছিল। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পলিটেকনিক কলেজ নির্মাণ হয়ে পাঠদান আরম্ভ হলেও ডিমা হাসাও জেলায় গত ১৩ বছর থেকে পলিটেকনিক কলেজে পাঠদান শুরু হয়নি।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর অসমের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা ভার্চুয়ালি গুঞ্জু পলিটেকনিকের শুভ উদ্বোধন করলেও গত দু-বছর থেকে এই পলিটেকনিকে পাঠদান শুরু হয়নি। প্রমিত বলেন, ২০১৯ সাল থেকে ডিমা হাসাও জেলায় বিএড কলেজ নির্মাণের কাজ চলছে। তাছাড়া পাহাড়ি জেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হলেও এ সব প্রতিষ্ঠান কার্যক্ষম হয়ে ওঠেনি। এমন-কি মাইবাং মহকুমার কালাচাঁদে ডিএলএড কলেজ রয়েছে। এই কলেজের অবস্থাও শোচনীয়।
তিনি বলেন, ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী ডিমা হাসাও জেলায় মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত এ নিয়ে রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ করে প্রমিথ বলেন, আমাদের শুধু আশ্বাস দেওয়া হয়, অথচ তা কার্যে পরিণত হয় না।
প্রমিত সেংইয়ং বলেন, দীর্ঘদিন থেকে তারা ডিমা হাসাও জেলায় অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসলেও সরকার এ নিয়েও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে বিটিআর এবং কারবি আংলং জেলা থেকেও পিছিয়ে রয়েছে ডিমা হাসাও।
ডিমাসা স্টুডেন্টস্ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকের এই ধরনা কার্যসূচির পরও যদি সরকার এ নিয়ে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তা-হলে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে, জানান প্রমিত সেংইয়ং।
হিন্দুস্থান সমাচার / বিশাখা দেব