অসমে ত্ৰিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন : গ্রামাঞ্চলের ব্য়াপক রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি সংবলিত ইসতাহার প্রকাশ প্ৰদেশ বিজেপির
প্রকাশিত থিম সঙ এবং তথ্যচিত্র গুয়াহাটি, ২৬ এপ্রিল (হি.স.) : অসমে আগামী ২ এবং ৭ মে দুই দফায় অনুষ্ঠেয় ত্ৰিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষ্যে গ্রামাঞ্চলের ব্যাপক রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৫ দফা সংবলিত ইসতাহার ‘সংকল্প পত্র’ প্রকাশ করেছে প্ৰদেশ বিজেপ
সম্মিলিতভাবে ‘সংকল্প পত্র’ প্রকাশের মুহূর্তে


ভারত মাতা, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় এবং ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করছেন মুখ্যমন্ত্রী


প্রকাশিত থিম সঙ এবং তথ্যচিত্র

গুয়াহাটি, ২৬ এপ্রিল (হি.স.) : অসমে আগামী ২ এবং ৭ মে দুই দফায় অনুষ্ঠেয় ত্ৰিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষ্যে গ্রামাঞ্চলের ব্যাপক রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৫ দফা সংবলিত ইসতাহার ‘সংকল্প পত্র’ প্রকাশ করেছে প্ৰদেশ বিজেপি। একই অনুষ্ঠানে প্রকাশ করা হয়েছে থিম সঙ এবং তথ্যচিত্র।

আসন্ন ত্ৰিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপক প্রচারাভিযান চলছে গোটা রাজ্যে। জোরদার প্রচারাভিযানের মধ্যে আজ শনিবার অসম প্রদেশ বিজেপি তাদের নির্বাচনী ইসতাহার ‘সংকল্প পত্র’ প্রকাশ করেছে। প্ৰকাশিত ‘সংকল্প পত্র’-এ সামগ্রিক গ্রামীণ উন্নয়নের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে ১৫টি প্রধান সংকল্প উপস্থাপন করা হয়েছে।

আজ শনিবার বশিষ্ঠ এলাকায় অবস্থিত দলের প্রদেশ সদর দফতর অটলবিহারী বাজপেয়ী ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংসদ তথা দলের প্রদেশ সভাপতি দিলীপ শইকিয়া, অসমে দলের প্রভারী হরিশ দ্বিবেদী, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রঞ্জিতকুমার দাস, মন্ত্রী জয়ন্তমল্ল বরুয়া, মন্ত্রী পীযূষ হাজরিকা, মন্ত্রী কৌশিক রাই, সাংসদ রঞ্জিত দত্ত, সাংসদ কামাখ্যা প্রসাদ তাসা, সাংসদ বিজুলি কলিতা মেধি, বিজেপির প্রদেশ উপ-সভাপতি তপনকুমার গগৈদের সঙ্গে নিয়ে সম্মিলিতভাবে ইসতাহার তথা ‘সংকল্প পত্র’ প্ৰকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা। অনুষ্ঠানে ছিলেন দলের বিভিন্ন পদমর্যাদার পদাধিকারী এবং কার্যকর্তাগণ ছাড়াও ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ পল্লবলোচন দাস, অসম গৌরব সম্মান প্রাপক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং আমন্ত্রিত অতিথিগণ।

প্রকাশিত ‘সংকল্প পত্র’-এ অসমের গ্রামীণ অর্থনীতি এবং শাসনব্যবস্থার জন্য একটি নতুন পথ তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। মহাত্মা গান্ধী, আচার্য বিনোবা ভাবে, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়, অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং নরেন্দ্র মোদীর মতো জাতীয় নেতাদের দর্শনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি বিজেপির ‘সংকল্প পত্র’-এ অসমের গ্রামগুলিতে গ্রাম স্বরাজ ও অন্ত্যোদয়ের আদর্শ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করা হয়েছে।

৫৫ বছরের শাসনামলে গ্রামাঞ্চলে স্বশাসন বাস্তবায়নে ব্যর্থতার জন্য কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করে দলের সংকল্প পত্রে কেন্দ্রীভূত দুর্নীতিকে উৎসাহিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। বিপরীতে বিকেন্দ্রীভূত প্রবৃদ্ধি এবং ক্ষমতায়নের অনুঘটক হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিজেপি।

২০১৪ সাল থেকে এনডিএ সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে সংকল্প পত্ৰে দ্রুত গ্রামীণ অগ্রগতির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে লুক-ইস্ট এবং অ্যাক্ট-ইস্ট নীতির মাধ্যমে আঞ্চলিক ও জাতীয় কাঠামোর সাথে অসমকে একীকরণের অঙ্গীকার করা হয়েছে। এছাড়া উগ্ৰপন্থী গোষ্ঠীগুলির সাথে শান্তি চুক্তির ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে বৃহত্তর স্থিতিশীলতা এবং ব্যাপক উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করেছে বলে দাবি করা হয়েছে ‘সংকল্প পত্র ’-এ।

এছাড়া আজ প্ৰকাশিত ‘সংকল্প পত্র ’-এ বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারকে কৃতিত্ব দিয়ে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের নেতৃত্বে প্রথম গঠিত রাজ্য সরকার অসমে ‘নতুন ভোর’এর সূচনা করেছে। পাশাপাশি যুব-উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে অরুণোদয় প্রকল্প, মুখ্যমন্ত্রী মহিলা উদ্যমিতা অভিযান, মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য সহায়তা এবং মুখ্যমন্ত্রীর আত্মনির্ভর অসম অভিযানের মতো রূপান্তরমূলক উদ্যোগের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে ইসতাহারে।

কুশল কোঁওর বৃদ্ধ পেনশন স্কিম, অটল অমৃত অভিযান, আয়ুষ্মান ভারত যোজনা, জল জীবন মিশন, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি এবং প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা সহ মূল সামাজিক কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিও অন্তিম ব্যক্তির সমৃদ্ধি চালিত সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে ‘সংকল্প পত্র ’-এ৷

মোদ্দা কথায় এক দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অসম প্রদেশ বিজেপি চলতি ২০২৫ সালের আসন্ন ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের ইসতাহার তথা ‘সংকল্প পত্র’কে রাজ্যের গ্রামীণ কেন্দ্রস্থলকে টেকসই উন্নয়নের মডেলে রূপান্তরিত করার প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande