বিলোনিয়া সীমান্তে বাংলাদেশের বাঁধ, পরিদর্শনে গেলে মথা কর্মীদের বাধা বিএসএফের
বিলোনিয়া (ত্রিপুরা), ২৮ এপ্রিল (হি.স.) : দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়ার বল্লামুখা এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে বাংলাদেশের তরফে একটি বাঁধ নির্মাণকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ত্রিপুরার আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল তিপ্রা মাথার যুব সংগঠনের কর্
সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা


বিলোনিয়া (ত্রিপুরা), ২৮ এপ্রিল (হি.স.) : দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়ার বল্লামুখা এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে বাংলাদেশের তরফে একটি বাঁধ নির্মাণকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ত্রিপুরার আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল তিপ্রা মাথার যুব সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা বল্লামুখা সীমান্ত এলাকায় পরিদর্শন করতে গেলে উত্তেজনা আরো চরমে পৌঁছে।

দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার ভারত- বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের বল্লামুখা এলাকায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাঁধ নির্মাণকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরে সীমান্ত সংলগ্ন ঈশান চন্দ্রনগর, সুকান্ত নগর, বল্লামুখা, উত্তর বিলোনিয়া ইত্যাদি এলাকার জনগণের মধ্যে চাপা ক্ষোভ চলছিল। পরে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বল্লামুখা আসেন পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে। তিনি এসে বিভিন্ন বিষয়ে দ্রুততার সাথে পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

বন্যায় বল্লামুখার মাফিজ মিয়া ঘাট এলাকায় ভারতের দিকে যে বাঁধ ভেঙ্গে গিয়েছিল তা মেরামতির কাজ শুরু হয়। ঠিক এই অবস্থায় সোমবার দুপুরে ত্রিপুরার আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল তিপ্রা-মথার দুই শতাধিক নেতা কর্মী ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য জাতীয় পতাকা এবং দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে বনকর নদীর উত্তর পাড়ে আসে। বিএসএফ এবং পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের পথ আটকে সংশ্লিষ্ট জায়গায় যেতে বাধা দেওয়া হয়।

পরবর্তী সময়ে ওয়াইটিএফ তথা যুব তিপ্রা মথার নেতৃত্বদের সাথে বিএসএফ আধিকারিক এবং পুলিশ প্রশাসনের দীর্ঘ বাক বিতণ্ডা হয়। আলোচনা শেষে প্রতিনিধিমূলক একটি দল এবং বিএসএফ ও পুলিশ আধিকারিকরা সংশ্লিষ্ট বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেন।

প্রথম অবস্থায় তিপ্রা মথার কর্মী সমর্থকদের বাঁধ নির্মাণ এলাকায় যেতে বাধা দিলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন তারা এবং বাংলাদেশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বাংলাদেশ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান মোঃ ইউনূসের ছবিতে থুতু এবং জুতোর আঘাতে প্রতিবাদ করতে থাকে। এই বিষয়ে যুব তিপ্রা মথার নেতা ডেভিড মুড়াসিং বলেন, ত্রিপুরার ভৌগলিক সীমা পরিবর্তনের জন্য দায়ী বাংলাদেশ। সেই সাথে বাংলাদেশকে ভারতের সহযোগিতার কথা জানিয়ে দিতে ভুল করেননি তারা।

পরবর্তী সময়ে এলাকা পরিদর্শন শেষে যুব তিপ্রা মথার রাজ্য সভাপতি জিতেন দেববর্মা এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা সভাপতি সুরাজ দেববর্মা বলেন বাংলাদেশ যে বাঁধ তৈরি করেছে তা বেআইনি। তারা আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করেছে। দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা আমাদের কর্তব্য এবং দায়িত্ব পালন করার জন্য এখানে এসেছি। আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande