সিকিমের মেল্লি থেকে ডেন্টাম পর্যন্ত নতুন রেললাইনের জরিপ অনুমোদন ভারতীয় রেলের
গুয়াহাটি, ১০ মে (হি.স.) : ভারতীয় রেল মন্ত্রালয় সিকিম রাজ্যের মেল্লি থেকে ডেন্টাম ভায়া জোরেথাং এবং লেগশিপ পর্যন্ত একটি নতুন রেললাইনের জন্য চূড়ান্ত স্থান জরিপ (এফএলএস) পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছে। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সম্পাদিত জরিপটির জন্য আনুমান
প্রস্তাবিত মেল্লি-ডেন্টাম নতুন রেললাইন


গুয়াহাটি, ১০ মে (হি.স.) : ভারতীয় রেল মন্ত্রালয় সিকিম রাজ্যের মেল্লি থেকে ডেন্টাম ভায়া জোরেথাং এবং লেগশিপ পর্যন্ত একটি নতুন রেললাইনের জন্য চূড়ান্ত স্থান জরিপ (এফএলএস) পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছে। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সম্পাদিত জরিপটির জন্য আনুমানিক প্রায় ২.২৫ কোটি টাকা ব্যয়ের অনুমোদন হয়েছে। এই পদক্ষেপ সিকিমের দক্ষিণ ও পশ্চিম অঞ্চলে রেল সংযোগ সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হবে। প্রস্তাবিত রুটটির লক্ষ্য হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোগত ব্যবধান পূরণ করা, যা চিওয়াভাঞ্জিয়াং-এ ভারত-নেপাল সীমান্তের পাশে অবস্থিত ডেন্টামের মতো দূরবর্তী শহরগুলিকে ভারতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করবে।

আজ শনিবার উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা এক প্রেস বার্তায় এ খবর দিয়ে জানান, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই জরিপের নির্দেশ দিয়েছেন এবং সিকিমের সাংসদ (লোকসভা) ড. ইন্দ্র হ্যাং সুব্বার দাবির প্রেক্ষিতে এই জরিপটি প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রাথমিক সম্ভাব্যতা জরিপের সময় আনুমানিক ৭৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই নতুন রেল লাইনটি নির্মীয়মাণ সিভোক-রংপো রেল লাইনের একটি কৌশলগত সম্প্রসারণ হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে, যা ২০২৭ সালের মধ্যে কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মেল্লি, দক্ষিণ ও পশ্চিম সিকিমের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ, যা প্রস্তাবিত সম্প্রসারণের জন্য একটি সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার ফলে এই অঞ্চলের জাতীয় পরিবহন ব্যবস্থায় নিরবচ্ছিন্ন একীকরণ নিশ্চিত হবে। এফএলএস (ফাইনাল লোকেশন সার্ভে) প্রকল্পের চূড়ান্ত সারিবদ্ধকরণ, প্রকৌশল নকশা এবং ব্যয় অনুমানের জন্য প্রয়োজনীয় বিশদ প্রযুক্তিগত এবং সম্ভাব্যতা অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে।

এই নতুন সংযোগ প্রকল্পটি এই অঞ্চলের, বিশেষ করে গিয়ালশিং এবং আশেপাশের অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে, যার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বৃদ্ধি পাবে, পর্যটনের প্রচার হবে, বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এই রেল সংযোগটি একবার সম্পন্ন হলে, যোগাযোগের উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটবে, পণ্য ও যাত্রীদের ভ্রমণ সহজতর হয়ে উঠবে, যা পশ্চিম সিকিমের জনগণের জন্য একটি রূপান্তরকারী জীবনরেখা হিসেবে কাজ করবে। জরিপ সম্পাদনের সাথে সম্পর্কিত কাজের দরপত্র শীঘ্রই প্রকাশিত হবে বলে জানানো হয়েছে প্রেস বার্তায়।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande