সীতা মহোৎসবে লোকসংস্কৃতিতে মাতা সীতার রূপের বর্ণনা, ব্যাখ্যা করলেন রাজ্যপাল ও সন্তরা
সীতামঢ়ী, ১০ মে (হি.স.): সীতামঢ়ীর পুনৌরাধাম শ্রী জানকী জন্মস্থানে অবস্থিত সীতা প্রেক্ষাগৃহে হিন্দুস্থান সমাচার-এর উদ্যোগে সীতা মহোৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। অনুষ্ঠানের স
সীতা মহোৎসবে লোকসংস্কৃতিতে মাতা সীতার রূপের বর্ণনা, ব্যাখ্যা করলেন রাজ্যপাল ও সন্তরা


সীতা মহোৎসবে লোকসংস্কৃতিতে মাতা সীতার রূপের বর্ণনা, ব্যাখ্যা করলেন রাজ্যপাল ও সন্তরা


সীতামঢ়ী, ১০ মে (হি.স.): সীতামঢ়ীর পুনৌরাধাম শ্রী জানকী জন্মস্থানে অবস্থিত সীতা প্রেক্ষাগৃহে হিন্দুস্থান সমাচার-এর উদ্যোগে সীতা মহোৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন হিন্দুস্থান সমাচার-এর চেয়ারম্যান অরবিন্দ ভালচন্দ্র মার্ডিকর। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর প্রদেশের অযোধ্যাধামের সিদ্ধপীঠ হনুমান নিবাসের মহন্ত আচার্য মিথিলেশানন্দিনীশরণ জি মহারাজ; মুখ্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সীতামঢ়ী বগহীধামের শ্রী মহন্ত ডঃ শুকদেব দাস জি মহারাজ; বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রী পঞ্চদশনাম জুনা আখড়ার শ্রী মা যোগেশ্বরী ইয়াতী জির অনন্ত শ্রী বিভূষিত মহামন্ডলেশ্বর; উত্তর প্রদেশের রাজ্য তথ্য কমিশনার পদুম নারায়ণ দ্বিবেদী; পুনৌরাধাম শ্রী জানকী জন্মভূমি মন্দিরের পীঠধীশ্বর, শ্রী মহন্ত কৌশল কিশোর দাস জি মহারাজ, এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাগ্য বিধাতা চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাম সুরেশ চৌধুরী এবং ভাস্কর ঝা।

অনুষ্ঠানটি সফলভাবে পরিচালনা করেন সঞ্জীব কুমার। অনুষ্ঠানে বিখ্যাত শাস্ত্রীয় গায়ক পণ্ডিত উদয় কুমার মল্লিক এবং ভজন গায়ক ডক্টর সুরেন্দ্র কানৌজিয়া তাদের শাস্ত্রীয় সঙ্গীত পরিবেশনা দিয়ে সকলকে মন্ত্রমুগ্ধ করেন। এই উপলক্ষ্যে যুগবার্তা, নবোত্থান এবং তেজস্বিনী সীতা উন্মোচন করা হয়। বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে স্বস্তি পাঠের পর অতিথিবৃন্দ যৌথভাবে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। সকল অতিথিদের পুষ্পস্তবক, শাল ও স্মারক দিয়ে সম্মানিত করা হয়। ভাগ্য বিধাতা চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন অ্যান্ড ট্রাস্টের ভাস্কর ঝা সবাইকে স্বাগত জানান এবং ট্রাস্টের কাজ সম্পর্কে অবগত করান।

প্রধান অতিথি হিসেবে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, হিন্দু কোনও ধর্মীয় শব্দ নয়, বরং এটি একটি ভৌগোলিক শব্দ এবং ভারতে জন্মগ্রহণকারী সকলেই হিন্দু। তিনি বলেন যে, তিনি ভগবান শ্রী রামের জন্মস্থান উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। আর মা জানকী যেখানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি সেই রাজ্যের প্রথম নাগরিক হতে পেরে সৌভাগ্যবান । তিনি বলেন, ভগবান শ্রী রাম এবং মা জানকী কেবল হিন্দি অঞ্চলের জন্যই নয়, দক্ষিণ এবং সমগ্র সনাতন অঞ্চলের জন্যও অনুপ্রেরণার উৎস।

প্রধান বক্তা সিদ্ধপীঠ হনুমান নিবাস অযোধ্যা ধামের শ্রীমহন্ত আচার্য মিথিলেশানন্দিনীশরণ জি মহারাজ বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থ এবং বেদে মাতা সীতার উল্লেখ বর্ণনা করার সময় লোক সংস্কৃতির পাশাপাশি লোকজীবনে তাঁর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। মা জানকীর জন্মস্থানের উন্নয়নের জন্য এক বছরের সংসদীয় তহবিল এর অর্থ সাংসদ দেবেশ চন্দ্র ঠাকুরের প্রদানের ঘোষণার বিষয়ে প্রশংসা করেছেন বগহী ধাম সীতামঢ়ীর শ্রীমহন্ত ডক্টর শুকদেব দাস জি মহারাজ।

বিশেষ অতিথি শ্রী পঞ্চ দশনম জুনা আখড়ার অনন্ত শ্রী বিভূষিত মহামন্ডলেশ্বর শ্রী মা যোগেশ্বরী যতীজি বলেন, মা সীতার অগ্নি পরীক্ষাকে নেতিবাচক অর্থে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটা নেতিবাচকতা নয় বরং ইতিবাচক। তিনি বলেন, কেবল নারীদেরই নয়, পুরুষদেরও অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়। তিনি বলেন, অগ্নি পরীক্ষার দ্বারা মা জানকী ধৈর্য, বিনয়, সহনশীলতা এবং ক্ষমার শিক্ষা দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে পীঠাধীশ্বর শ্রী জানকী জন্মভূমি মন্দির পুনৌরাধামের শ্রীমহন্ত কৌশল কিশোর দাস জি মহারাজ সকলকে আশীর্বাদ করেন।

অনুষ্ঠানের পৌরহিত্য করেন হিন্দুস্থান সমাচার এর চেয়ারম্যান অরবিন্দ ভালচন্দ্র মার্ডিকর। উত্তর প্রদেশ সরকারের রাজ্য তথ্য কমিশনার পদুম নারায়ণ দ্বিবেদী দেবী মাতার রূপ চিত্রণের পাশাপাশি আরও গবেষণার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। বিহারের বিখ্যাত ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত উদয় কুমার মল্লিক এবং ভজনশিল্পী ডঃ সুরেন্দ্র কানৌজিয়া তাঁদের পরিবেশনার জন্য বিপুল প্রশংসা লাভ করেন।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ




 

 rajesh pande