দোকান ভাঙচুর করে কিশোরের গায়ে গরম দুধ ঢেলে দেওয়ার দায়ে ‘নেতা’ ধৃত
পূর্ব বর্ধমান, ১৭ মে (হি.স.): পাওনা টাকা আদায় করতে গিয়ে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ উঠেছিল এক নেতার বিরুদ্ধে। দোকান ভাঙচুরের পাশাপাশি কিশোরের গায়ে গরম দুধ ঢেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন পলাতক ওই নেতা। শনিবার ধৃতকে বর্ধমানে এনে জেলা আদালত
দোকান ভাঙচুর করে কিশোরের গায়ে গরম দুধ ঢেলে দেওয়ার দায়ে ‘নেতা’ ধৃত


পূর্ব বর্ধমান, ১৭ মে (হি.স.): পাওনা টাকা আদায় করতে গিয়ে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ উঠেছিল এক নেতার বিরুদ্ধে। দোকান ভাঙচুরের পাশাপাশি কিশোরের গায়ে গরম দুধ ঢেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন পলাতক ওই নেতা। শনিবার ধৃতকে বর্ধমানে এনে জেলা আদালতে তোলা হয়। বিচারক ধৃতকে ৪ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্তর নাম অমিত মাকড়। বর্ধমান ২ নম্বর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক। ওই ঘটনার পর প্রায় একমাস গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন। শেষরক্ষা হল না। ঝাড়খণ্ড পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বর্ধমানের পুলিশ আধিকারিকরা পাকুড়ে হানা দেন শুক্রবার। ওই হোটেল থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ঘটনাটি ঘটে গত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি। দেওয়ানদিঘি এলাকার একটি চালকলের অদূরে চায়ের দোকান চালান উমাশঙ্কর সাউ নামে এক ব্যক্তি। পাশেই তাঁদের থাকার ঘর। বছর খানেক আগে ওই ব্যক্তি ব্যক্তিগত কারণে মির্জাপুরের বাসিন্দা পেশায় ইমারত ব্যবসায়ী অমিত মাকড়ের থেকে দফায় দফায় ৫০ হাজার টাকা ধার নেন। ভাগে ভাগে সেই টাকা মেটানো হবে বলে দু’জনের মধ্যে চুক্তি হয়। সেই মোতাবেক চা বিক্রেতা উমাশঙ্কর সাউ অনেক টাকা শোধ করছিলেন বলে দাবি।

সময়মত বকেয়া টাকা না পেয়ে ১৯ এপ্রিল দুপুরের উমাশঙ্করের দোকানে পাঁচ সঙ্গীকে নিয়ে হানা দেন ওই ইমারত ব্যবসায়ী বিজেপি নেতা। সেসময় দোকানে ছিলেন না উমাশঙ্কর। ছিল তাঁর ১২ বছরের ছেলে। অভিযোগ, অমিত মাকড় সঙ্গীদের নিয়ে দোকান ভাঙচুর করে। হামলার প্রতিবাদ করে দোকানে থাকা ওই কিশোর। ‘শাস্তি’ হিসেবে দোকানে গামলায় থাকা গরম দুধ কিশোরের গায়ে ঢেলে দেওয়া হয়। শরীরের অনেকটা অংশ পুড়ে গিয়েছিল ওই কিশোরের। ওই নেতার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande