রানী অহল্যাবাঈ হোলকারের জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আগরতলায় বিজেপির কর্মশালা
আগরতলা, ১৭ মে (হি.স.) : রানী অহল্যাবাঈ হোলকরের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের জন্য শনিবার বিজেপি ত্রিপুরা প্রদেশ কার্যালয়ে দলের সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যে পৌরহিত্যে একদিনের কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রদেশ সহ-সভাপতি সুবল ভৌমিক,
আগরতলায় কর্মশালা


আগরতলা, ১৭ মে (হি.স.) : রানী অহল্যাবাঈ হোলকরের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের জন্য শনিবার বিজেপি ত্রিপুরা প্রদেশ কার্যালয়ে দলের সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যে পৌরহিত্যে একদিনের কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রদেশ সহ-সভাপতি সুবল ভৌমিক, সহ-সভাপতি অমিত রক্ষিত সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য সহসভাপতি অমিত রক্ষিত বলেন, পুণ্যশ্লোক রানী অহল্যাবাঈ হোলকার ছিলেন ভারতের সাংস্কৃতিক জাগরণ এবং সনাতন চিন্তাভাবনার পাশাপাশি দরিদ্র ও অসহায় মানুষের সেবার জীবন্ত প্রতিমূর্তি। তিনি বলেন, কঠিন চ্যালেঞ্জ এবং প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও রানী অহল্যাবাঈ হোলকার অবিচল ছিলেন এবং জনসেবায় নিরন্তর সক্রিয় ছিলেন।

তিনি বলেন যে, শৈশব থেকেই ভগবান শিবের প্রতি তাঁর গভীর বিশ্বাস ছিল। মুঘলদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত কাশী বিশ্বনাথ মন্দির, সোমনাথ মন্দির সংস্কার করা হয়েছে। ১৬ কোটি টাকার ব্যক্তিগত সম্পত্তি দিয়ে তিনি সনাতন ধর্মের চারটি ধাম, সাতটি পুরী এবং ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ সংস্কার করেছেন। বৈদিক পণ্ডিতদের নিয়োগ করেছেন এবং শাস্ত্রের ধ্যানের ব্যবস্থা করেছেন। আজ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত ৩০০ বছর পর আবারও একটি সাংস্কৃতিক নবজাগরণের সাক্ষী হচ্ছে।

অমিত রক্ষিত বলেন, রানী অহল্যাবাঈ ন্যায়বিচার, সমাজ সংস্কার এবং নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক কাজ করেছেন। তাঁর আমলে রানী কঠোর যৌতুক বিরোধী আইন প্রণয়ন করেছিলেন। রাষ্ট্র কর্তৃক নিঃসন্তান বিধবাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নীতির অবসান করেছিলেন। বিধবাদের সন্তান দত্তক নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। বিধবা পুনর্বিবাহকে নৈতিক সমর্থন দিয়েছিলেন। মহিলাদের শিক্ষার অধিকার দিয়েছিলেন। মেয়েদের জন্য পৃথক স্কুল খুলেছিলেন এবং মহিলা শিক্ষক নিয়োগ করেছিলেন। মহিলাদের যুদ্ধ দক্ষতা শেখানো এবং একটি মহিলা সামরিক দল গঠন করেছিলেন। রাণী অহল্যাবাঈ হোলকরের সমগ্র জীবন ছিল সেবা ও নিষ্ঠার প্রতি নিবেদিতপ্রাণ।

অমিত বলেন, রানী অহল্যাবাঈ ছিলেন ভারতের নারীশক্তির শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। ভারতের সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদকে শক্তিশালী করার জন্য রানী অহল্যাবাঈ হোলকরকে স্মরণ করা ভারতের প্রয়োজন। রানী অহল্যাবাঈ হোলকর নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে শাসন করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। তাঁর জন্মবার্ষিকী সামনে রেখে ২১ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মন্ডলে মন্ডলে কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তিনি।

হিন্দুস্থান সমাচার / Subhash Chandra Das




 

 rajesh pande