আগরতলা, ১৭ মে (হি.স.) : পশুপালন ও মৎস পালনের মাধ্যমে মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৯ সালে কৃষি থেকে আলাদা করে মৎস ও পশুপালন মন্ত্রণালয় গঠন করেছেন। দেশে ৮ কোটির বেশি মানুষ পশুপালনের সাথে যুক্ত রয়েছেন। শনিবার পশ্চিম ত্রিপুরার বামুটিয়ায় গোমতী কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রোডিউসার্স ইউনিয়ন লিমিটেড এর দৈনিক ৪০ হাজার লিটার ক্ষমতা সম্পন্ন আধুনিক ডেয়ারি প্ল্যান্ট এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন কেন্দ্রীয় মৎস্য, পশুপালন ও ডেয়ারি মন্ত্রক মন্ত্রী রাজীব রঞ্জন সিং।
তিনি ত্রিপুরায় দুগ্ধ শিল্পের প্রসারে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের তথ্যও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দুধ উৎপাদনে ভারত শীর্ষে রয়েছে। প্রতিবছর দেশে ৬ শতাংশ হারে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ত্রিপুরায়ও এই শিল্পের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যে দুগ্ধ শিল্পের প্রসারে এবং মৎস উৎপাদনে আগামীদিনে কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বলেন, রাজ্যের গ্রামীণ অর্থনীতি বিকাশের লক্ষ্যে কাজ করছে রাজ্য সরকার। আগামী ৫ বছরের মধ্যে রাজ্যকে দুধ, ডিম ও মাছ উৎপাদনে স্বয়ম্ভর করে তুলতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, গো-পালনে উৎসাহিত করতে মুখ্যমন্ত্রী উন্নত গোধন প্রকল্পে গো-পালকদের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে মৎস, প্রাণীসম্পদ ও ডেয়ারি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর এস পি সিং বাঘেল বলেন, এই আধুনিক প্ল্যান্ট স্থাপনের ফলে প্রতিদিন ৩০ হাজার লিটার দুধ এবং ১০ হাজার লিটার দুগ্ধজাত পণ্যের উৎপাদন হবে। এছাড়া তিনি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমেই দুধ উৎপাদন বাড়ানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকারের প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী সুধাংশু দাস রাজ্যে প্রাণীপালকদের জন্য রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা বিস্তারিত তুলে ধরেন। সমবায় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টায় রাজ্যে সমবায়ের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে ২৮৭টি সমবায় রয়েছে। এই সমবায়ের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গোমতী কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রোডিউসার্স ইউনিয়ন লিমিটেড এর চেয়ারম্যান রতন ঘোষ৷ বিধায়ক মিনা রানী সরকার, মৎস, পশুপালন ও ডেয়ারি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বর্ষা জোশি, প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের সচিব কে শশীকুমার, প্রাণসম্পদ বিকাশ দপ্তরের অধিকর্তা নীরজ কুমার চঞ্চল প্রমুখ।
হিন্দুস্থান সমাচার / Subhash Chandra Das