গুয়াহাটি, ১৭ মে (হি.স.) : দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ‘অপারেশন ঘোস্ট সিম’ শীর্ষক অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষাকারী সাত জিহাদকে গ্রেফতার করেছে আসাম পুলিশ। আজ শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এ খবর দিয়েছেন রাজ্যের পুলিশপ্ৰধান (ডিজিপি) হরমিত সিং।
রাজ্য পুলিশের সদর দফতরে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে ডিজিপি হরমিত সিং বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ‘অপারেশন ঘোস্ট সিম’ শীর্ষক এক সফল অভিযান চালিয়েছিল আসাম পুলিশ। ওই অভিযানে সাত জিহাদিক গ্ৰেফতার করা হয়েছে।
ডিজিপি জানান, গজরাজ মিলিটারি ইনটেলিজেন্সের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, অসম, রাজস্থান এবং তেলেঙ্গানার বিভিন্ন জায়গায় সক্ৰিয় একটি চক্ৰ ভুয়া সিমের মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। প্ৰাপ্ত এই তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৪ মে বিএনএস-এর ৬ (২)/১৪৭/১৪৮/৬২-এর অধীনে ধারা ১৮-এর সঙ্গে রিড ইউএ(পি) আইন এবং আইটি আইনের ৬৬ নম্বর ধারায় ০২/২০২৫ নম্বরে মামলা রুজু করা হয়। রুজুকৃত মামলার ভিত্তিতে আসাম পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর এক যৌথ দল সঙ্গে সঙ্গে ‘অপারেশন ঘোস্ট সিম’ শীর্ষক তদন্ত-অভিযান শুরু করে।
তিনি জানান, গতকাল (১৬ মে) এসবি এবং এসটিএফ-এর যৌথ দল অসমের দুই জেলা, রাজস্থানের দুই জেলা এবং তেলেঙ্গানার একটি জেলার মোট সাত জিহাদিকে গ্ৰেফতার করেছে। তাদের হেফাজত থেকে ৯৪৮টি সিমকাৰ্ড, কারিগরি ও প্রযুক্তিগত যন্ত্ৰ, নথি ইত্যাদি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ধৃত জেহাদিরা যথাক্রমে রাজস্থানের ভারতপুরের বাসিন্দা সাদ্দিক (৪৭), রাজস্থানের সাহরি আলওয়ারের আরিফ খান (২০), রাজস্থান আলওয়ারের সাজিদ (২১), রাজস্থানের অকিক (২৫) (গুয়াহাটি বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার), নয়াদিল্লি বিমানবন্দর থেকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে রাজস্থান ভরতপুরের আর্শাদ খান (৩৪), তেলেঙ্গানার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অসমের ধুবড়ি জেলার মফিজুল ইসলাম (১৯) এবং ধুবড়ি জেলার বিলাসীপাড়ার জাকারিয়া আহমেদ (২৪)।
এছাড়া ধুবড়ি জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও ১৪ জনকে পাক-যোগের অভিযোগে পুলিশ গ্ৰেফতার করেছে।
ডিজিপি হরমিত সিং বলেন, পুলিশের সন্দেহ, ধৃত জিহাদি সদস্যরা শত্ৰুরাষ্ট্ৰ পাকিস্তানকে বিভিন্ন তথ্য পাচার করে দেশবিরোধী কাজে লিপ্ত ছিল। আরও তথ্য জানতে বিভিন্ন গোয়েন্দা আধিকারিক জিজ্ঞাসাবাদ করছেন, সাংবাদিক সম্মেলনে জানান ডিজিপি সিং।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস