আগরতলা, ১৭ মে (হি.স.) : এআরসি পদ্ধতি অবলম্বন করার ফলে ত্রিপুরায় আলু উৎপাদন প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি হয়েছে। তবে এখনও এই আলুগুলি বাজারে ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না, কারণ এখনো রাজ্যের সমস্ত চাষীদের মধ্যে এআরসি আলু বীজ বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। তাই এই এআরসি পদ্ধতিতে উৎপাদিত আলুগুলি বীজ হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। আগামী দিনের কৃষকদের মধ্যে এই আলু বিতরণ করা হবে।
কি করে এআরসি আলু চাষকে আরো ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি করা যায় এই বিষয়টিকে সামনে রেখে পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হল রাজধানী আগরতলার পার্শ্ববর্তী নাগিছড়াস্থিত রাজ্যের উদ্যান এবং বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্রে। এদিনের এই পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, আন্তর্জাতিক আলু গবেষণা কেন্দ্রের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অবজারভার বিজ্ঞানী ডঃ কল্পনা শর্মা, রাজ্য উদ্যান এবং বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান ডঃ রাজীব ঘোষ, পশ্চিম জেলা উদ্যান এবং মৃত্তিকা সংরক্ষণ দপ্তরের উপ-অধিকর্তা সুজিত দাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অরিন মজুমদার, এসিস্টেন্ট ডিরেক্টর অভিনাশ দাস, এসিস্টেন্ট ডিরেক্টর সাগরিকা ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
আগামী দিনে কি করে রাজ্যে এআরসি পদ্ধতির আলু চাষকে ব্যাপক অংশের কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যায় এই বিষয়ে পর্যালোচনা করেন উপস্থিত সকলে। পাশাপাশি উন্নত জাতের কমলা রঙ্গের মিষ্টি আলুও রাজ্যে চাষ শুরু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বৈঠকে।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ