নেশার টাকা জোগাড় করতে চুরি, পৃথক ঘটনায় দু'জনকে গণপিটুনি
বক্সনগর (ত্রিপুরা), ২৫ মে (হি.স.) : মাদকাসক্তির ভয়াবহতা দিনকে দিন গ্রাস করে ফেলছে সিপাহীজলা জেলার সীমান্ত মহকুমা সোনামুড়াকে। নেশার টাকার জোগাড়ে এলাকাজুড়ে প্রতিদিনই ঘটছে একের পর এক চুরি। চোরের লক্ষ্য এখন শুধু দোকান নয়—পশু-পাখিও রেহাই পাচ্ছে না। রবিবার
গণপিটুনি


বক্সনগর (ত্রিপুরা), ২৫ মে (হি.স.) : মাদকাসক্তির ভয়াবহতা দিনকে দিন গ্রাস করে ফেলছে সিপাহীজলা জেলার সীমান্ত মহকুমা সোনামুড়াকে। নেশার টাকার জোগাড়ে এলাকাজুড়ে প্রতিদিনই ঘটছে একের পর এক চুরি। চোরের লক্ষ্য এখন শুধু দোকান নয়—পশু-পাখিও রেহাই পাচ্ছে না। রবিবার এমনই দুটি ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় শহরজুড়ে।

প্রথম ঘটনাটি ঘটে হাসপাতাল রোড এলাকায়। যেখানে মনির হোসেন নামে এক যুবক ছাগল চুরি করে পালানোর চেষ্টা করছিল।স্থানীয়রা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এরপর উত্তেজিত জনতা গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে পুরাতন সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকায়। বিষ্ণু নমঃ নামে এক যুবক মোরগ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে এবং তাকেও একইভাবে গণপিটুনির শিকার হতে হয়।

জানা গেছে, মনিরের বাড়ি তামসা এলাকায় এবং বিষ্ণুর বাড়ি উদয়পুর মহকুমায়। দুই ঘটনায়ই জনতা আইন নিজের হাতে তুলে নেয়। পরে পুলিশ এসে দু'জনকেই উদ্ধার করে সোনামুড়া থানায় নিয়ে যায়। ভয়াবহ এই মারধরের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। সচেতন মহল প্রশ্ন তুলেছেন—আইন কি তবে এখন সাধারণ মানুষের হাতে।

অভিযোগ, সোনামুড়া থানা থেকে ৪০০ মিটার দূরে এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এখনো পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে তারা স্বউদ্যোগে তদন্ত শুরু করেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, এ ধরনের সামাজিক অবক্ষয় রুখতে নেশা বিরোধী প্রচার, কঠোর আইন প্রয়োগ ও জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি। না হলে এমন ঘটনা আরও ভয়ঙ্কর ও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে উঠবে—যার পরিণতি পুরো সমাজকেই ভুগতে হতে পারে। সমাজে অপরাধ দমন ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা একমাত্র আইনের মাধ্যমে সম্ভব। আইনকে পাশ কাটিয়ে জনতার বিচার যদি অভ্যাসে পরিণত হয়। তবে তাতে বন্ধ হবে না অপরাধ, বরং সৃষ্টি করবে এক ভয়ংকর বিশৃঙ্খলা।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande