মুর্শিদাবাদ, ৬ মে (হি.স.): মুর্শিদাবাদ সফরে গিয়ে সে জেলায় হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘বাংলার বাড়ি প্রকল্পে’ ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে তুলে দিলেন ঘরের প্রতীকী চাবি। এ ছাড়া পহেলগাম কাণ্ডের পর জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলিযুদ্ধে নিহত সেনা জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের স্ত্রীকে হোমগার্ডের চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মুর্শিদাবাদের সুতিতে প্রশাসনিক সভার মঞ্চে আসেন শহিদ জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের পরিবার। জওয়ানের স্ত্রী, দুই সন্তানকে মঞ্চে নিয়ে আসেন তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত। কাশ্মীরের উধমপুরে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারান প্যারা কমান্ডো ঝন্টু শেখ (৩৭)। তাঁর বাড়ি তেহট্টের পাথরঘাটায়। উধমপুরে তল্লাশি অভিযানের সময় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে নিহত হন তিনি। তাঁর স্ত্রীকে কেবল হোমগার্ডের চাকরির নিয়োগপত্রই নয়, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর হাতে তুলে দেন ১০ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্যও।
এছাড়া সুতির কাশিমনগরের ওয়াকফ অশান্তিতে প্রাণ হারানো এজাজ আহমেদের পরিবারের একজনকেও চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তিনি। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের সুতিতে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সুতির সাজুর মোড় থেকেই শুরু হয়েছিল অশান্তি। মুর্শিদাবাদের হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৮৬ পরিবার পিছু ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়। সুতির সভাস্থল থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ” আজ ধুলিয়ানে গেলাম। ৪০০ পরিবারের সঙ্গে দেখা হয়েছে। ২৮০ পরিবারকে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছি। যাঁদের আরও ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের টার্ম লোন দেওয়া হবে। জাফরাবাদে নিহত বাবা-ছেলে হরগোবিন্দ ও চন্দনের পরিবার আগেই সরকারি সাহায্য গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছিলেন। মঙ্গলবার এই পরিবারের সঙ্গে দেখাও করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু তাঁরা কেউ না থাকায় সেখানে যাননি মমতা। সুতির সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, ”অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অর্থ তুলে রাখা হল। তাঁরা যদি চান, নিতে পারেন।” মঙ্গলবার কপ্টারে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে পৌঁছোছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বিডিও অফিসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত