দুর্গাপুর, ১০ জুলাই (হি.স ) : গত দুদিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাতে হু হু করে জলস্তর বাড়ছে মাইথন, পাঞ্চেত জলাধার ও দুর্গাপুর ব্যারেজে। মরশুমে প্রথম বিপদসীমার কাছে পৌঁছাল জলস্তর। পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই দুই জলাধার থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে দফায় দফায় অনুমতি চাইল ডিভিআরআরসি। অভিযোগ অনুমতি চাইলেও মেলেনি সদুত্তর। বন্যা পরিস্থিতির শঙ্কায় দুর্যোগের কালো মেঘ ঘনাচ্ছে নিম্ন দামোদর আববাহিকায়।
প্রসঙ্গত, গভীর নিম্নচাপ ও সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখার জোড়া ফলায় প্রভাব পড়েছে বাংলা, বিহার ঝাড়খন্ডে। গত দুদিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাত ঝাড়খন্ড বিহারে। একনাগাড়ে বৃষ্টিতে ফুলে উঠল মাইথন পাঞ্চেত জলাধার। জানা গেছে,
বৃহস্পতিবার দুপুরে মাইথনে ১৮.২৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। পাঞ্চেত উপতক্যায় ২৪.২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তেনুঘাট উপত্যকায় ২৭.৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও গত পরশু ও গতকাল ওই তিন জলাধার উপত্যকায় ভারি বৃষ্টি হয়েছে। যার দরুন তেনুঘাট থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। ডিভিআরআরসি সুত্রে জানা গেছে, তেনুঘাট থেকে ১৮ হাজার ৮০০ কিউসেক জল ছেড়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ওই জল পাঞ্চেত জলাধারে দ্বীগুনের বেশী অর্থাৎ প্রায় ৪০ হাজার কিউসেক হয়ে ঢুকবে। ফলে পাঞ্চেত জলাধারের জলস্তর আরও বাড়বে।
বৃহঃস্পতিবার পাঞ্চেত জলাধারে জলস্তর রয়েছে ৪০৯.২ ফুট। যেটা এদিন থাকা দরকার ৪০৬.২৪ ফুট। একইরকম ভাবে মাইথন জলাধারে জলস্তর রয়েছে ৪৭০.০১ ফুট। যেটা বৃহঃস্পতিবার থাকা দরকার ছিল ৪৬৬. ৬ ফুট। ডিভিআরআরসির সদস্য সচিব সঞ্জীব কুমার বলেন, গত কয়েকদিন ধরে পাঞ্চেত জলাধারে ৩০ হাজার কিউসেক ও মাইথন জলাধারে ১০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। বৃষ্টিপাত হলে এর বেশী জল ছাড়ার অনুমতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার দিচ্ছে না। এখন তেনুঘাটের জল আগামী ৬ ঘন্টায় পাঞ্চেতে ঢুকবে। তার দরুন জলস্তর আরও বাড়বে। তাই আগাম পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে জল ছাড়ার আগাম সূচনা দিয়েছি। তার কোন জবাব দেয়নি। আবার চিঠি দিচ্ছি, তাতে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে। তার মধ্যে উত্তর না পাওয়া গেলে জল ছাড়ার পরিমান বাড়ানো হবে। কারন মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার ও দামোদর আববাহিকার সুরক্ষার জন্য জল ছাড়তে হবে।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা