L
কলকাতা, ১১ জুলাই ( হি. স.): ১২৫ তম প্রতিষ্ঠাদিবস উপলক্ষে শুক্রবার কলকাতার ভারত চেম্বার অব কমার্সের উদ্যোগে আয়োজিত হল এক বিশেষ সম্মেলন , যেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নরেশ পচিসিয়া এবং ভারতের মিউচ্যুয়াল ফান্ড এসোসিয়েশনের সদস্য নভনীত মুনতসহ বিভিন্ন উদ্যোগপতিরা ।
এদিন সম্মেলনের শুরুতেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে নরেশ পচিসিয়া মিউচ্যুয়াল ফান্ড প্রসঙ্গে বলেন, সম্প্রতি ভারতীয় মিউচ্যুয়াল ফান্ড এসোসিয়েশনের তত্ত্বাবধানে রয়েছে ভারতের ব্যাংক ডিপোজিটের ৩১% অর্থাৎ ৭৫ লক্ষ কোটি টাকা যা পূর্বের অবস্থায় তুলনায় ১৩% বৃদ্ধি পেয়েছে ।
বিশ্বব্যাপী আর্থ সামাজিক পরিবেশ , আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশসহ বিভিন্ন দেশের শুল্কনীতি , মানব সম্পদ অনুপাত - এই সূক্ষ্ম বিষয়গুলির উপর নির্ভরশীল ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি আদপে কতটা বাস্তবায়িত হচ্ছে ।
প্রসঙ্গে রেশ টেনে অনুষ্ঠানের মূল বক্তা তাঁর সুদীর্ঘ বক্তব্য তথা মতামত তুলে ধরেন। বক্তব্যের শুরুতেই কলকাতার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। তাঁর মতে , বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করলে ভারতের রাজনৈতিক সামাজিক পরিবেশ অন্যান্য দেশের তুলনায় বহুলাংশে অনুকূল। দীর্ঘ ৩০ বছরে ভারতের জিডিপি বেড়েছে ১০-১১%। এখন বড় ব্যবসায়ী , উদ্যোগপতিদের সঙ্গে সাধারণ মানুষেরাও স্টক মার্কেটসহ , ও বিভিন্ন এসআইপি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলিতে লগ্নি করতে পারে । একমাত্র ভারতেই লগ্নির বিষয়ে আগাম সতর্কতা দেওয়া হয়, যা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক একটি বিষয় । ভারতও বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশে উন্নীত হতে পারে , তবে তার জন্য প্রয়োজন ক্যাপিটাল মার্কেটগুলোর স্থিতিশীল উন্নয়ন । আমাদের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন , আগামী ২৫ বছরের মধ্যে অর্থনীতিতে ভারত নজির গড়বেই যেখানে প্রত্যেকটি ক্যাপিটাল মার্কেটের হাতে থাকবে ২- ৩ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে ৩০ ট্রিলিয়ন ডলার পার ক্যাপিটাল যা আমাদের মত উন্নয়নশীল গণতান্ত্রিক দেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং। রাশিয়ার সরকার সর্বদা সবথেকে বৃহত্তম উদ্যোগপতিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলে । কথায় আছে , বিশ্ব তথা আমেরিকার অর্থনীতি হাঁচি দিলে , ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশের জ্বর আসে। তবে এখন এই প্রবাদ ভারতের ক্ষেত্রে আর প্রযোজ্য নয় । কারণ দেখা গেছে , ভারতীয় টাকা বা রূপি বিশ্বের সব থেকে নিরাপদ মুদ্রা ।
তবে ভারতের অর্থনীতিকে তরতাজা রাখতে চাই লগ্নি আর পুঁজি । তার জন্য প্রত্যেকটি কোম্পানির পাবলিক রিলেশন বিভাগের সক্রিয়তা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি , দেশীয় কোম্পানির নিয়ম নীতির সঙ্গে বিদেশী উদ্যোগপতিদের যোগাযোগের মাধ্যম হলো এই পাবলিক রিলেশন বিভাগ । তবে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কিছু অযাচিত মানুষের অতি সক্রিয়তা বেশিরভাগ সময় পারস্পরিক বোঝা পড়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় । মিডিয়া হলো আমাদের সবথেকে বড় হাতিয়ার , তবে এর অপব্যবহার যেন না হয় সেইদিকে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন । তবেই গড়ে উঠবে বিশ্বাসযোগ্যতা । কারণ লগ্নির ক্ষেত্রে সবথেকে বড় দিক হল বিশ্বাস । তাই সবার প্রথমে মানুষের কাছে আস্থাভাজন হয়ে ওঠার বার্তা দিলেন তিনি।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / সৃজিতা বসাক