কাছাড়ে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে তারুণ্যের স্বপ্ন ও স্বাস্থ্য নিয়ে বর্ণময় অনুষ্ঠান
শিলচর (অসম), ১১ জুলাই (হি.স.) : আজ শুক্রবার শিলচর আরবান পিএইচসিতে কাছাড় জেলা স্বাস্থ্য সমিতি ও ন্যাশনাল হেলথ মিশনের (এনএইচএম) উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, সমাজ
কাছাড়ে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করছেন জেলাশাসক মৃদুল যাদব


শিলচর (অসম), ১১ জুলাই (হি.স.) : আজ শুক্রবার শিলচর আরবান পিএইচসিতে কাছাড় জেলা স্বাস্থ্য সমিতি ও ন্যাশনাল হেলথ মিশনের (এনএইচএম) উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, সমাজকর্মী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানের মূল বিষয় ছিল জনসংখ্যা বৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ ও উন্নয়নের পথে তারুণ্যের ভূমিকা।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কাছাড়ের জেলাশাসক ও জেলা স্বাস্থ্য সমিতির সভাপতি মৃদুল যাদব (আইএএস)। প্রধান অতিথির ভাষণে জেলাশাসক বলেন, ‘আমাদের তরুণরাই একটি সুস্থ ও ন্যায়সংগত ভবিষ্যতের চাবিকাঠি। তাঁদের তথ্য ও স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়ে সচেতন ও দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতায়ন করা আমাদের সামাজিক দায়িত্ব। এটি কেবল ব্যক্তিগত অধিকার নয়, বরং জেলা ও দেশের উন্নয়নের চালিকাশক্তি।’

‘তারুণ্যকে ক্ষমতায়ন করুন, ন্যায্য ও আশাব্যঞ্জক বিশ্ব গড়ুন’ থিমকে সামনে রেখে আয়োজিত দিবসটি দেখিয়ে দিল সচেতনতা ও স্বাস্থ্যসেবা কিভাবে ব্যক্তি ও সমাজের অগ্রগতির হাতিয়ার হতে পারে।

স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্ম-অধিকর্তা ডা. শিবানন্দ রায় ‘মা ও শিশুর স্বাস্থ্যে কাছাড়ের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা জানিয়ে বলেন, ‘জনসংখ্যা-সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলো লিঙ্গ সমতা, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক সুযোগের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমাদের পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচিগুলো আরও শক্তিশালী করতে হবে এবং কাউকে পিছনে ফেলে রাখা যাবে না।’

স্বাস্থ্য বিভাগের প্রাক্তন যুগ্ম-অধিকর্তা ও এদিনের ল্যাপারোস্কপি ও এনএসভি শিবিরের নেতা ডা. আশুতোষ বর্মণ বলেন, ‘যতই চিকিৎসা প্রযুক্তি এগিয়ে যাক, তৃণমূল স্তরে সচেতনতা এখনও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রচেষ্টা যেন শুধু সংখ্যায় সীমাবদ্ধ না থেকে জীবনমান উন্নত করার দিকে মনোযোগী হয়, বিশেষত পিছিয়ে পড়া অংশগুলোর জন্য।’

জেলা স্বাস্থ্য সমিতি ও এনএইচএম-এর যৌথ উদ্যোগে এবং রোটারি ক্লাব অব গ্রেটার শিলচরের (আরসিজিএস) সহযোগিতায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রোটারি ক্লাবের সভাপতি ডা. রজত দেব, এনএইচএম-এর ডিপিএম রাহুল ঘোষ, জেলা আইনি পরিষেবার উপদেষ্টা ধর্মানন্দ দেব, কমিউনিটি ডিরেক্টর ডা. জুরি শর্মা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন ও রোটারি ক্লাবের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়, যার আওতায় কুম্ভা চা বাগানকে এক বছরের জন্য দত্তক নিয়ে সেখানকার শ্রমিক ও তাদের পরিবারের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই পদক্ষেপটিকে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে এক এএসএইচএ কর্মী ও এক এলএস উপভোক্তাকে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয় তাদের অনন্য অবদানের জন্য। এদিন ল্যাপারোস্কপি ও এনএসভি শিবিরে ডা. অশ্বতোষ বর্মণের নেতৃত্বে পিএইচসি ও এএসএইচএ কর্মীদের সহযোগিতায় কমিউনিটির জন্য তাৎক্ষণিক ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে বলে শিলচরের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande