গুয়াহাটি, ১১ জুলাই (হি.স.) : লামডিং-বদরপুর পাহাড় লাইনে রেল পরিষেবা আজ শুক্রবারও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে ওঠেনি। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পাহাড় লাইনের দিহাকু ও মুপার মধ্যবর্তী ৫১/১-২ কিলোমিটার অংশে ধস সাফাই করে দূরপাল্লার ট্রেনগুলি চালানোর চেষ্টা করছে।
আজ কোয়াম্বটুর থেকে শিলচরগামী আরোনি এক্সপ্রেস ধস-বিধ্বস্ত এলাকা পার হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া শিলচর-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস আজ বিকালে মুপার ধস-বিধ্বস্ত এলাকা পেরিয়ে যায়। কোনওমতে ধস সাফাই করে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করলেও মুপার ধস-বিধ্বস্ত ৫১/১-২ কিলোমিটার অংশে রেলপথে প্রটেকশনের কাজ চলছে।
এদিকে আজ উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা এক প্রেস বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, দিহাকু ও মুপা স্টেশনের মধ্যবর্তী ৫১/১-২ কিলোমিটার অংশে রেল লাইন লাগোয়া পাহাড় থেকে মাটি-পাথর নেমে আসায় ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। তবে রেলপথ সচল করার কাজ চলছে। এমতাবস্থায় পাহাড় লাইনে ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, আগামীক ১২ জুলাই ১২৫০৪ নম্বর আগরতলা-বেঙ্গালুরু ক্যান্ট হামসফর এক্সপ্রেস আগরতলা ও গুয়াহাটির মধ্যে আংশিকভাবে যাত্রা বাতিল করা হয়েছিল যদিও, ১২ জুলাই হাফসফর এক্সপ্রেস আগরতলা থেকে বেঙ্গালুরুর উদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময় সকাল ৫-টা ৩০ মিনিটে ছাড়বে। তাছাড়া ১১ জুলাই ১৫৬১১ নম্বর রঙিয়া-শিলচর এক্সপ্রেসর যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া ১২ জুলাই যাত্রা বাতিল করা হয়েছে ১৫৮৮৮ নম্বর গুয়াহাটি-বদরপুর এবং ১৫৮৮৭ নম্বর বদরপুর-গুয়াহাটি ট্যুরিস্ট স্পেশাল।
তাছাড়া পুননির্ধারণ করা হয়েছে ১৫৬১২ নম্বর শিলচর-রঙিয়া এক্সপ্রেস এবং ১৫৬১৫ নম্বর গুয়াহাটি-শিলচর এক্সপ্রেস। ০৭০২৯ নম্বর গুয়াহাটি-চারলাপাল্লি স্পেশাল ট্রেনের সময়সূচি ১১ জুলাই শিলচর থেকে ১০টা ৪০ মিনিটে রঙিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা শিলচর-রঙিয়া এক্সপ্রেস ১২ জুলাই সকাল ৬-টায় শিলচর থেকে যাত্রা করবে।
১১ জুলাই রাত ১১টা ৫৫ মিনিটের গুয়াহাটি-শিলচর এক্সপ্রেসের সময় বদল করা হয়েছে। এই ট্রেন ১২ জুলাই গুয়াহাটি থেকে সকাল ৬-টায় শিলচরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে। অন্যদিকে আগরতলা থেকে চারলাপাল্লি স্পেশাল ১২ জুলাই সকাল ৫-টায় আগরতলা থেকে চারলাপাল্লির উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে বলে প্রেস বার্তায় জানিয়েছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা।
হিন্দুস্থান সমাচার / বিশাখা দেব