বাউরিয়ার ব্যাপারে পুলিশকে একহাত বিরোধী দলনেতার
হাওড়া, ১১ জুলাই (হি.স.): বাউরিয়ায় সাম্প্রতিক হাঙামা ও হিন্দুদের ওপর আক্রমণের দায় পুলিশ ও সংখ্যালঘুদের ওপরেই চাপালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার তিনি উলুবেড়িয়ায় দলীয় সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন। আক্রান্তদের বাড়িতে যান। তিনি জানান, “আমি ওসি
বাউরিয়ার ব্যাপারে পুলিশকে একহাত বিরোধী দলনেতার


হাওড়া, ১১ জুলাই (হি.স.): বাউরিয়ায় সাম্প্রতিক হাঙামা ও হিন্দুদের ওপর আক্রমণের দায় পুলিশ ও সংখ্যালঘুদের ওপরেই চাপালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার তিনি উলুবেড়িয়ায় দলীয় সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন। আক্রান্তদের বাড়িতে যান।

তিনি জানান, “আমি ওসিকে বলেছি এই কেসের আইও একজন এসআই শাহজাহান। বলেছি, মুঘলরা শক্তিশালী ছিল বলে শাহজাহান ছিল। এখন শাহজাহানের শাসন নেই। এই শাহজাহানকে সংবিধান মেনে কাজ করতে বলুন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানতে হবে। শুধু মন্দির ভাঙা, দোকান ভাঙা, রক্তপাত নয়, এক হিন্দু শিশুকে আঘাত করা হয়েছে সেই অস্ত্র দিয়েই, যেরকম অস্ত্র দিয়ে হরগোবিন্দ দাস ও চণ্ডীদাসের উপর কোপানো হয়েছিল।”

তিনি বলেন, “সরকারি টাকায় বেতন নেওয়া এই শাহজাহান এবং তার সহযোগীরা যদি সুমন, রোহিতকে মারধর করে, আমরা চুপ করে থাকব না। আইনত তাদের জামিনের ব্যবস্থা করা হবে। ১৫ তারিখে নিম্ন আদালতে যদি না হয়, তাহলে উচ্চ আদালতে যাব।

যাঁরা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল, তাঁদের পরিবারের জন্য বিজেপি দায়িত্ব নিয়েছে। আহতদের, ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। শুরুতে হয়তো সম্পূর্ণ নয়, আংশিক। দোকান খোলার কথা বলা হয়েছে। আরও দরকার হলে দল দেবে।”

শুভেন্দুবাবু বলেন, “সম্প্রতি মোথাবাড়ি, শমসেরগঞ্জ, ধুলিয়ান, মহেশতলা রাবীন্দ্রনগরেও এমন হয়েছিল। সুতরাং, আমরা সেই মানুষের পাশেই আছি। সেই উদ্দেশ্যেই, একদিকে উত্তেজনা বাড়ানোর বদলে আমরা পুলিশ, এসপিকে বলেছি পরিস্থিতি যেন খারাপ না হয়, পুলিশ যা পরামর্শ দেবে দিনক্ষণ জানাক। আমরা পুলিশের উত্তরের অপেক্ষায়।

তিনি বলেন, এখনও যদি আদালতে পিটিশন নেওয়া না হয়, তাহলে সেটা স্ত্রীকে পাঠিয়ে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমি বাউরিয়া থানার ওসি সুমন্ত দাসের সঙ্গে স্থানীয় নেতৃত্বের ফোন থেকে কথা বলেছি। বলেছি, সুমনের স্ত্রীর এই অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পুলিশি হেফাজতে এমনটা চলতে পারে না। সুমন আমাদের হিন্দু বীর, তাকে চোর, ডাকাত, ধর্ষকের সঙ্গে এক পাল্লায় মাপা যাবে না। আনুব্রত মণ্ডলকে ধরতে পারেন না, ধর্ষককে ধরতে পারেন না, আর সুমনকে নির্যাতন করবেন? এটা হতে পারে না।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande