বক্সনগরে ধসে পড়ল পূর্ত দফতরের বাউন্ডারি দেওয়াল, অল্পতে রক্ষা
বক্সনগর (ত্রিপুরা), ১১ জুলাই (হি.স.) : অল্পতে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা নেপাল চন্দ্র দাসের পরিবার। ঘটনাস্থল সিপাহীজলা জেলার বক্সনগরের রতনদোলা এলাকা। তাঁদের বাড়ির একদম লাগোয়া পূর্ত অফিসের পুরনো পাকা বাউন্ডারি দেওয়ালের একাংশ হঠাৎ ভেঙে পড়ে। ভাঙা অংশটা কয়
ভেঙে পড়ল বাউন্ডারি ওয়াল


বক্সনগর (ত্রিপুরা), ১১ জুলাই (হি.স.) : অল্পতে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা নেপাল চন্দ্র দাসের পরিবার। ঘটনাস্থল সিপাহীজলা জেলার বক্সনগরের রতনদোলা এলাকা। তাঁদের বাড়ির একদম লাগোয়া পূর্ত অফিসের পুরনো পাকা বাউন্ডারি দেওয়ালের একাংশ হঠাৎ ভেঙে পড়ে। ভাঙা অংশটা কয়েক ইঞ্চি এগিয়ে গেলেই চুরমার হত বসতঘর, প্রাণহানি অবশ্যম্ভাবী ছিল।

৬২ বছরেরও বেশি সময় ধরে পিতৃভূমিতে বসবাস করছেন নেপাল চন্দ্র দাস ও তাঁর পরিবার। কিন্তু ঠিক পাশেই পূর্ত দফতরের জীর্ণ ও ফাটল ধরা দেওয়াল বহু বছর ধরে দাঁড়িয়ে ছিল ঝুঁকির মধ্যে। ১৫ বছর ধরে ছেলে নিখিল দাস প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করে আসছেন, বাউন্ডারিটি মেরামত বা নতুন করে নির্মাণের জন্য। কিন্তু আজ অবধি হয়নি কোনও ব্যবস্থা।

টানা বৃষ্টির জেরে অবশেষে যা আশঙ্কা ছিল, তাই ঘটল—বাউন্ডারির বিশাল অংশ ভেঙে পড়ল তাঁদের বাড়ির সীমানায়। নেপাল চন্দ্র দাস বলেন,“আজ যদি আমাদের কেউ মারা যেত, দায় নিত কে? আমরা তো বহুবার জানিয়েছি বিপদের কথা!” তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সরাসরি হস্তক্ষেপ চেয়েছেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

এলাকার মানুষও ক্ষুব্ধ। কারও বক্তব্য— “এটা তো স্রেফ অবহেলা না, এ একধরনের দাদাগিরি। সাধারন মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে প্রশাসন।” কেউ আবার বলছেন, “এত অভিযোগের পরেও কাজ না হওয়া মানে নিশ্চয়ই এর পেছনে কোনও গোপন স্বার্থ রয়েছে।”

হিন্দুস্থান সমাচার / Subhash Chandra Das




 

 rajesh pande