পাচারের আগে উদ্ধার ১৭০ টি টিয়ার ছানা, কাঁকসায় জাতীয় সড়কে ধৃত আন্তঃরাজ্য পাখি পাচারচক্রের দুই পান্ডা
দুর্গাপুর, ১২ জুলাই (হি.স.) : আবারও জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে আন্তঃরাজ্য পাখি পাচারচক্র চোরাকারবার। পাচারের আগে ভিনরাজ্য থেকে আসা একটি ম্যাটাডোর গাড়ি থেকে বন বিভাগের হাতে উদ্ধার প্রচুর রেড বেসড্ টিয়া পাখির ছানা। ঘটনায় ২ পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পাচারের আগে উদ্ধার ১৭০ টি টিয়ার ছানা, কাঁকসায় জাতীয় সড়কে ধৃত আন্তঃরাজ্য পাখি পাচারচক্রের দুই পান্ডা


দুর্গাপুর, ১২ জুলাই (হি.স.) : আবারও জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে আন্তঃরাজ্য পাখি পাচারচক্র চোরাকারবার। পাচারের আগে ভিনরাজ্য থেকে আসা একটি ম্যাটাডোর গাড়ি থেকে বন বিভাগের হাতে উদ্ধার প্রচুর রেড বেসড্ টিয়া পাখির ছানা। ঘটনায় ২ পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ নং জাতীয় সড়কের ওপর কাঁকসার বাঁশকোপা টোল প্লাজা এলাকায়।

দুর্গাপুর বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদের নাম হান্নান শেখ ও কাশেম খান। যার মধ্যে কাশেম খান পূর্ব বর্ধমানের দুবরাজদীঘির হরেরডাঙার বাসিন্দা । এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সকালে ১৯ নং জাতীয় সড়কের বাঁশকোপা টোলপ্লাজা এলাকায় সাদা পোশাকে হানা দেয় বনবিভাগের কর্মীরা। তখনই একটি ম্যাটাডোর গাড়িতে টিয়াপাখি সহ আটক করে। জানা গেছে, ধৃত কাশেম খান কুখ্যাত আন্তরাজ্য পাখি পাচারকারী। ২০২২ সালে এপ্রিল মাসে বর্ধমানে ১৯৪ টি টিয়া পাখি সহ ধরা পড়েছিল। সেই মামলা চলছে। তারপর এদিন আবারও পাচারের আগে ধরা পড়ে বনকর্মীদের জালে।

উল্লেখ্য চলতি বছর গত ২৯ জানুয়ারী যাত্রীবাহি বাসে পাচারের আগে টিয়া পাখি সহ শেখ ইসমাইল, শেখ ওয়াসীম নামে বর্ধমানের দুবরাজদীঘির দুই বাসিন্দা ধরা পড়ে। তাদের কাছ থেকে ১৯৫ টি পাহাড়ি টিয়ার ছানা উদ্ধার হয়। তার আগে গত ২০২০ সালে বর্ধমানে পাচারের আগে আন্তঃরাজ্য পাচারকারীদের হাত থেকে প্রায় সাড়ে ৭০০ টিয়া পাখি ও হিল ময়না আটক করে বন দফতর। পরে ওই পাখিগুলি কাঁকসার দেউল বনাঞ্চলে ছাড়া হয়। ২০২১ সালে ৩০ জানুয়ারী একইরকমভাবে বিহার থেকে কোলকাতাগামী বাসের ডিকিতে টিয়া পাখি পাচার হচ্ছিল। বমবিভাগের জালে ১৯ নং জাতীয় সড়কের কাঁকসার বাঁশকোপা টোলপ্লাজা এলাকা থেকে পাখি পাচারের মহম্মদ গুড্ডু ও মহঃ পিন্টু নামে দুই মুল পান্ডা সহ চারজন গ্রেফতার হয়। উদ্ধার হয় প্রায় ৬০০ টিয়া পাখি। ২০২২ সালের ২৫ আগষ্ট রাতের অন্ধকারে চারচাকা গাড়ীতে পাচারের সময় পানাগড়ে বনবিভাগের জালে টিয়া পাখি সহ দুই পাচারকারী ধরা পড়ে। ঘটনায় আব্দুল কাদের ও মোহাম্মদ ফুলবা নামে বর্ধমানের দুই পাচারকারী গ্রেফতার হয়। উদ্ধার হয় ২০০ টিয়া পাখি। তারপর এদিনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে আন্তঃরাজ্য পাখি পাচারচক্র করিডর হিসাবে ব্যাবহার করছে? যদিও শনিবার ধৃত দুজনকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিন খারিজ করে জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন। বনবিভাগের দুর্গাপুর রেঞ্জ আধিকারিক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মুলত রেড বেসড্ টিয়া পাখি। পাটনা থেকে বর্ধমান নিয়ে যাচ্ছিল। আপাতত দেউল জঙ্গলে টিয়া পাখিগুলি ছাড়া হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে বনপ্রানী সংরক্ষন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। কোথায় পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তদন্ত করা হচ্ছে।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা




 

 rajesh pande