কলকাতা, ১২ জুলাই (হি. স.) : মহেশতলার আক্রা এলাকায় এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির দায়ে কাঠগড়ায় মাদ্রাসা শিক্ষক। কলকাতার নিকটেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলায় এবার মহেশতলা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। ঘটনায় প্রকাশ, গতকাল দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকেই শ্লীলতাহানি করে এক মাদ্রাসা শিক্ষক। এদিকে, এই অভিযোগের ভিত্তিতেই শনিবার ছাত্রীটির পরিবার অভিযুক্তের উপর চড়াও হয়। আর এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ জানায়, মহেশতলায় দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্ত হাই মাদ্রাসার এক শিক্ষক। নির্যাতিতার তরফেও বাড়িতে বিষয়টি জানাতেই অভিযুক্তকে ধরেই ব্যাপক মারধর করে পরিবারের সদস্যরা। ওই খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ। বর্তমানে সে স্থানীয় এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মতিউর রহমান মোল্লা। মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য তিনি। শুক্রবার ওই শিক্ষক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ। শনিবার তা জানাজানি হতেই অশান্তি চরমে ওঠে। অভিযোগ, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীটি শুক্রবার মাদ্রাসার লাইব্রেরিতে বই আনতে গেলে ওই শিক্ষক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে। ঘটনাস্থল থেকে কোনক্রমে পালিয়ে বাঁচে ঐ ছাত্রী। বাড়ি ফিরে বিষয়টি পরিবারকে জানায় ঐ ছাত্রী। এলাকায় চরম উত্তেজনা থাকায় ডিএসপি রেজাউল করিমের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী এলাকায় যায়। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগেও এমন শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল। অভিযুক্ত সুস্থ হলেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মহেশতলা থানার পুলিশ।
হিন্দুস্থান সমাচার / শুভদ্যুতি দত্ত