রাস্তায় বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ালেই সম্মান, ‘রাহ-বীর’ প্রকল্প চালু কেন্দ্রের
শিলচর, (অসম), ১৭ জুলাই (হি.স.) : দেশের রাস্তায় প্রতিদিন সংঘঠিত হয় অজস্র দুর্ঘটনা। ব্যস্ত শহরের মোড়ে, ফাঁকা হাইওয়ের প্রান্তে বা অচেনা কোনও গ্রামপথে হঠাৎ থমকে দাঁড়িয়ে যায় সময়। আহত মানুষের আর্তনাদ শোনা যায়। কিন্তু প্রায়ই দেখা যায়, ভিড় জমে ঠি
রাস্তায় বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ালেই সম্মান, ‘রাহ-বীর’ প্রকল্প চালু কেন্দ্রের


শিলচর, (অসম), ১৭ জুলাই (হি.স.) : দেশের রাস্তায় প্রতিদিন সংঘঠিত হয় অজস্র দুর্ঘটনা। ব্যস্ত শহরের মোড়ে, ফাঁকা হাইওয়ের প্রান্তে বা অচেনা কোনও গ্রামপথে হঠাৎ থমকে দাঁড়িয়ে যায় সময়। আহত মানুষের আর্তনাদ শোনা যায়। কিন্তু প্রায়ই দেখা যায়, ভিড় জমে ঠিকই, সাহায্যের হাত বাড়ে না। কেউ ভয় পান, পুলিশি জেরা হবে কিনা! কেউ ভাবেন, অকারণে ঝামেলায় জড়িয়ে যাবেন না! কিন্তু সেই মানসিকতা বদলাতে এবং যাঁরা সত্যিই নির্ভয়ে এগিয়ে আসেন, তাঁদের সম্মান জানাতে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

শিলচরের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর দিয়ে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রকের তরফে সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে ‘রাহ-বীর’ প্রকল্প। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য, দুর্ঘটনায় আহত মানুষকে রাস্তায় ফেলে না রেখে যাঁরা তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে পৌঁছে দেন এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন, তাঁদের পুরস্কৃত করা। এমন মানবিক সাহসিকতা ও দায়িত্ববোধকে সমাজের কাছে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ।

মন্ত্রক সূত্রে প্ৰাপ্ত খবরেৰ ভিত্তিতে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘রাহ-বীর’ প্রকল্পের অধীনে কোনও ব্যক্তি যদি গুরুতর দুর্ঘটনায় আহত কাউকে দুর্ঘটনার পর প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যে, যাকে চিকিৎসকরা বলেন ‘গোল্ডেন আওয়ার’ হাসপাতালে ভর্তি করতে সাহায্য করেন, তবে তাঁকে দেওয়া হবে নগদ ৫ হাজার টাকা ও একটি সরকারি স্বীকৃতির শংসাপত্র। যদি তিনি এক সঙ্গে একাধিক প্রাণ বাঁচান, তবে সর্বাধিক ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার পেতে পারেন। শুধু তা-ই নয়, সারা দেশের মধ্যে থেকে প্রতিবছর নির্বাচিত ১০ জন সর্বোত্তম ‘রাহ-বীর’কে দেওয়া হবে জাতীয় সম্মান এবং ১ লক্ষ টাকা করে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রক মনে করছে, এই প্রকল্প কেবল মানুষের মনোবল বাড়াবে না, বরং রাস্তায় বিপদাপন্ন মানুষজনের পাশে দাঁড়ানোর এক সামাজিক আন্দোলনকেও জোরদার করবে।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande