ঘোষণা নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের শপথগ্রহণ ও সভাপতি এবং সহ-সভাপতি নির্বাচনের নির্ধারিত সূচি
শিলচর (অসম), ২ জুলাই (হি.স.) : গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে এবং তৃণমূল পর্যায়ে প্রশাসনের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে কাছাড় জেলা পরিষদের মুখ্য কার্যনিৰ্বাহী আধিকারিক প্রণবকুমার বরা (এসিএস) আঞ্চলিক পঞ্চায়েতগুলির প্রথম সভার সময়সূচি ঘোষণা করেছেন। এটি অসম সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের ১৭ মে (২০২৫)-র নির্দেশনা এবং কাছাড়ের জেলাশাসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রকাশিত হয়েছে।
১৪ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ১৭ জুলাই পর্যন্ত জেলায় মোট ১৫টি আঞ্চলিক পঞ্চায়েতে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভাগুলিতে নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথগ্রহণ সম্পন্ন হবে এবং আঞ্চলিক পঞ্চায়েতগুলির সভাপতি ও সহ-সভাপতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বশাসিত প্রশাসনের (তৃণমূল) দায়িত্ব হস্তান্তর ও গণতান্ত্রিক কাঠামোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে।
বেলা ১১:৩০টায় প্রতিটি উন্নয়ন ব্লক কার্যালয়ে সভা শুরু হবে। সভাগুলি পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন ফুলালংগির চরেই (এসিএস), লক্ষ্যজিত গগৈ (এসিএস), উনহালে আশিস বিদ্যাধর (আইএএস), বহ্নিখা চেতিয়া (এসিএস), দীপা দাস (এসিএস, জোনালি দেবী (এসিএস), অঞ্জলি কুমারী (এসিএস) প্রমুখ। তাঁরা সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী সভা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রাপ্ত।
সভায় নির্বাচিত সদস্যদের শপথগ্রহণ, কোরামের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচন, সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধকরণ এবং তিন দিনের মধ্যে নির্বাচনের ফলাফল যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে এই সকল আধিকারিকদের ওপর।
বিশেষ নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে সমস্ত নির্বাচিত সদস্যকে তাঁদের নির্বাচনী শংসাপত্র এবং বৈধ ফটো পরিচয়পত্র নিয়ে উপস্থিত থাকতে হবে। নির্ধারিত সময়ে সভা শুরু করতে হবে এবং অযথা সভা স্থগিত করার অনুমতি দেওয়া হবে না।
১৪ জুলাই বাশকান্দি, বিন্নাকান্দি, বড়জালেঙ্গা ও বড়খলা; ১৫ জুলাই কালাইন, কাটিগড়া, লক্ষ্মীপুর ও ধলাই-নরসিংপুর; ১৬ জুলাই পালংঘাট, রাজাবাজার, রংপুর ও শিলচর এবং ১৭ জুলাই সোনাই, তাপাং ও উধারবন্দ আঞ্চলিক পঞ্চায়েতের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
সুনির্দিষ্ট সময়বন্ধ প্রশাসনিক উদ্যোগের মাধ্যমে কাছাড় জেলা পরিষদ রাজ্যের পঞ্চায়েত আইন, ১৯৯৪ অনুসারে গ্রামীণ শাসন ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি পুনরায় ব্যক্ত করেছে। জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ তৃণমূল স্তরে একটি স্বচ্ছ, গণতান্ত্রিক এবং দক্ষ প্রশাসনিক প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বলে শিলচরের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস