বিলোনিয়া (ত্রিপুরা), ২৬ জুলাই (হি.স.) : শিক্ষিকার কটুক্তিতে অপমানিত মেধাবী ছাত্রীর বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা। বর্তমানে ওই ছাত্রী হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। ঘটনা দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়ায়।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়া মহকুমার বড়পাথরির সোনাপুর এলাকার বাসিন্দা সমর মজুমদারের কন্যা তৃষা মজুমদার বড়পাথরি সোনাপুর স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্রী। তৃষা মজুমদার লেখাপড়ায় মেধাবী। সে দশম শ্রেণিতে প্রথম স্থানে রয়েছে। তৃষার পিতা দিনমজুর, তাই তার এইধরনের ফলাফল মেনে নিতে পারছেন না বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক শিক্ষিকা। এইর মধ্যে বিদ্যালয়ে টেষ্ট পরিক্ষায় বায়োলজিতে ১৪ নম্বরের মধ্যে ১৩ নম্বর পেয়েছে তৃষা। পরীক্ষার উত্তরপত্রে শেষের উত্তরটি অন্য কলম ব্যাবহার করে লিখেছে তৃষা। উত্তরটি সঠিক হওয়ার পরেও এক নম্বর কেটে নেওয়াতে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বিনা দাস পাটারির কাছে গেলে তিনি তৃষা মজুমদারকে নকল করেছে বলে সকলের সামনে অপমান করে নানান ভাষায় কটুক্তি করেছেন বলে অভিযোগ।
শিক্ষিকা বিনা দাস পাটারির এই ধরনের ব্যাবহারে মর্মাহত হয়ে তৃষা মজুমদার বাড়িতে গিয়ে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ঘটনাটি জানাজানির পর পরিবারের লোকজনেরা তৃষাকে নিয়ে বঠড়পাথরি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গেলে সেখানে কর্মরত চিকিৎসক তৃষার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য শান্তিরবাজারস্থিত জেলা হাসপাতালে রেফার করে। শান্তিরবাজারস্থিত জেলা হাসপাতালে একদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার তৃষাকে আগরতলায় জিবিপি হাসপাতালে রেফার করা হয়।
তৃষার পরিবাররের পক্ষ থেকে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শান্তিরবাজার থানায় মামলা দায়ের করার জন্য যান। থানার কর্তব্যরত এসআই রতন দেবনাথকে জানালে তিনি মামলা নেওয়া যাবে না বলে জানান। তিনি জানান, যেই জায়গায় ঘটনা সেই জায়গায় মামলা করতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী এখন যে কোন জায়গায় মামলা করা যায়। এনিয়ে তৃষার পরিবার পরিজনদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
তৃষা মজুমদার বর্তমানে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে। পরিবারের লোকজনরা এতটাই গরীব যে চিকিৎসা পরিষেবা কতটুকু চালাতে পারবে তা সঠিকভাবে বলতে পারছেন না। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষিপ গ্রহণ করতে রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন পরিবারের লোকজনরা।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ