জোড়া নদীর দাপটে কাবু জামশেদপুর, চলছে নজরদারি
পূর্ব সিংভূম, ২৭ জুলাই (হি. স.): দিনের পর দিন টানা বৃষ্টিতে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের বিস্তীর্ণ অংশ যখন জলমগ্ন, তখন রবিবার মিলল সামান্য স্বস্তি। নেমেছে সুবর্ণরেখা নদীর জলস্তর। তবে খরকাই নদী এখনও ভয় ধরাচ্ছে। নদী উপচে তলিয়ে যাচ্ছে কদমা, বাগবেড়া, সোনারি,
জোড়া নদীর দাপটে কাবু জামশেদপুর, চলছে নজরদারি


পূর্ব সিংভূম, ২৭ জুলাই (হি. স.): দিনের পর দিন টানা বৃষ্টিতে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের বিস্তীর্ণ অংশ যখন জলমগ্ন, তখন রবিবার মিলল সামান্য স্বস্তি। নেমেছে সুবর্ণরেখা নদীর জলস্তর। তবে খরকাই নদী এখনও ভয় ধরাচ্ছে। নদী উপচে তলিয়ে যাচ্ছে কদমা, বাগবেড়া, সোনারি, আদিত‍্যপুর, শাস্ত্রীনগরের এলাকার ঘরবাড়ি।

রবিবার সকাল পর্যন্ত মানগো সেতু সংলগ্ন এলাকায় সুবর্ণরেখা জলস্তর ১২১.৫০ মিটার থেকে কমে এসে দাঁড়িয়েছে ১২০.৬৬ মিটার। স্বস্তির খবর ঠিকই, তবে প্রশাসন এখনও তৎপর। নদীর ধার ঘেঁষা বসতিগুলিতে নজরদারি চলছে।

তবে খরখাই নদী আদিত‍্যপুর সেতু এলাকায় এখনও বিপদসীমার (১২৯ মিটার) অনেক উপরে, ১৩২.৭৯ মিটার ছুঁয়েছে। ফলে নিচু এলাকায় ঢুকছে জল। কোথাও নৌকা চলাচল শুরু হয়েছে, কোথাও মানুষ ঘর ছেড়ে ঠাঁই নিয়েছে স্কুল বা অস্থায়ী ত্রাণশিবিরে।

রবিবার জেলাশাসক সূত্রে জানা গেছে, এনডিআরএফ ও জেলা প্রশাসনের দল যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার ও ত্রাণে ব্যস্ত। খাদ্য, ওষুধ, পানীয় জল, টর্চ সহ যা প্রয়োজন সবই পাঠানো হচ্ছে। খোলা হয়েছে একাধিক ত্রাণ শিবির।

প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট বার্তা এখনই নদীর ধার ঘেঁষে যাবেন না কেউ। যেকোনও জরুরি অবস্থায় যোগাযোগ করুন হেল্পলাইন নম্বরে।

বিগত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় বৃষ্টি হয়েছে ৮৫ মিলিমিটার। এদিন আবহাওয়া দফতর জানান, আগামী দু’দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। বাঁধ থেকে জল ছাড়াও নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। মোতায়েন হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ ও উদ্ধারকারী বাহিনী। নিচু এলাকা থেকে সরানো হচ্ছে বাসিন্দাদের। পরিস্থিতির উপর রাখা হয়েছে কড়া নজর।

প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, “সুবর্ণরেখা আপাতত শান্ত। তবে খরকাই পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সতর্কতা থাকবে। কোনও গাফিলতি চলবে না।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / সৌমি বৈদ্য




 

 rajesh pande