ছাত্রীর আত্মহত্যা, তদন্ত শুরু করেছে কমিটি
শান্তিরবাজার (ত্রিপুরা), ৩০ জুলাই (হি.স.) : দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বড়পাথরী সোনাপুর দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ের ছাত্রী তৃষা মজুমদারের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহার নির্দেশে তদন্তে শুরু করেছে তদন্ত কমিটি। মুখ্যমন্ত্রীর নির
সোনাপুর বিদ্যালয়


শান্তিরবাজার (ত্রিপুরা), ৩০ জুলাই (হি.স.) : দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বড়পাথরী সোনাপুর দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ের ছাত্রী তৃষা মজুমদারের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহার নির্দেশে তদন্তে শুরু করেছে তদন্ত কমিটি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে গতকাল তড়িঘড়ি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন দফতর। যার মধ্যে রয়েছেন লিসা বর্ধন ( যুগ্ম অধিকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষা), কাজল কুমার ভৌমিক (ওএসডি, মাধ্যমিক শিক্ষা) এবং সুদীপ সরকার (ওএসডি, পশ্চিম জেলা শিক্ষা অফিস)।

বুধবার এই তদন্ত কমিটি সোনাপুর দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ে পৌঁছায়। প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে বিদ্যালয় পরিচালন কমিটি, অভিযুক্ত শিক্ষিকা বিনা দাস পাটারি, তৃষার সহপাঠী এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের পৃথক পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে সবকিছু খতিয়ে দেখেন। তদন্তকারী দলের সদস্য লিসা বর্ধন জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং দুঃখজনক। নিজেদের মত করে তদন্ত শুরু করেছেন বাস্তব দিকটা যাতে তুলে ধরা যায় সেভাবেই তদন্ত শুরু হয়েছে।

বুধবারই তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা রয়েছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। এরপর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। যদিও এই ঘটনায় ব্যথিত তৃষার সহপাঠী সহ বিদ্যালয়ের সর্বস্তরের ছাত্রছাত্রীরা। তৃষা আত্মঘাতী হওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকা বীনা দাস পাটারির কঠোর শাস্তির দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়া মহকুমার বড়পাথরির সোনাপুর এলাকার বাসিন্দা সমর মজুমদারের কন্যা তৃষা মজুমদার বড়পাথরি সোনাপুর স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্রী। তৃষা মজুমদার লেখাপড়ায় মেধাবী। সে দশম শ্রেণিতে প্রথম স্থানে রয়েছে। তৃষার পিতা দিনমজুর, তাই তার এইধরনের ফলাফল মেনে নিতে পারছেন না বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক শিক্ষিকা। এইর মধ্যে বিদ্যালয়ে টেষ্ট পরিক্ষায় বায়োলজিতে ১৪ নম্বরের মধ্যে ১৩ নম্বর পেয়েছে তৃষা। পরীক্ষার উত্তরপত্রে শেষের উত্তরটি অন্য কলম ব্যাবহার করে লিখেছে তৃষা। উত্তরটি সঠিক হওয়ার পরেও এক নম্বর কেটে নেওয়াতে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বিনা দাস পাটারির কাছে গেলে তিনি তৃষা মজুমদারকে নকল করেছে বলে সকলের সামনে অপমান করে নানান ভাষায় কটুক্তি করেছেন বলে অভিযোগ।

শিক্ষিকা বিনা দাস পাটারির এই ধরনের ব্যাবহারে মর্মাহত হয়ে তৃষা মজুমদার বাড়িতে গিয়ে বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ঘটনাটি জানাজানির পর পরিবারের লোকজনেরা তৃষাকে নিয়ে বঠড়পাথরি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গেলে সেখানে কর্মরত চিকিৎসক তৃষার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য শান্তিরবাজারস্থিত জেলা হাসপাতালে রেফার করে। শান্তিরবাজারস্থিত জেলা হাসপাতালে একদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার তৃষাকে আগরতলায় জিবিপি হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে রবিবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তৃষা মজুমদার।

হিন্দুস্থান সমাচার / Subhash Chandra Das




 

 rajesh pande