দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রেলপথ নির্মানের ডিপিআর তৈরিতে ৭০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রেলমন্ত্রকের
দুর্গাপুর, ৯ জুলাই (হি.স.) : ২৬ র বিধানসভার আগে রাঢ়বঙ্গে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় পুরুলিয়া- বাঁকুড়া - মশাগ্রাম- হাওড়া ট্রেন চালু হয়েছে। এবার দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রেলপথ তৈরিতে বড় সাফল্য বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ''য়ের। দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রেলপথ নির্মান
১৮ই জুলাই জয়রামবাটী থেকে ট্রেন চলবে মোদির হাত ধরে!  দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রেলপথ নির্মানের ডিপিআর তৈরীতে ৭০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রেলমন্ত্রকের


দুর্গাপুর, ৯ জুলাই (হি.স.) : ২৬ র বিধানসভার আগে রাঢ়বঙ্গে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় পুরুলিয়া- বাঁকুড়া - মশাগ্রাম- হাওড়া ট্রেন চালু হয়েছে। এবার দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রেলপথ তৈরিতে বড় সাফল্য বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ'য়ের। দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রেলপথ নির্মানের ডিপিআর তৈরির জন্য ৭০ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছে রেলমন্ত্রক। রেলমন্ত্রী (রাষ্ট্র) রভনীত সিং এর সঙ্গে সাক্ষাত করার পর এমনটাই জানিয়েছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে আগামী ১৮ জুলাই দুর্গাপুর থেকে বহু প্রতীক্ষিত জয়রামবাটী পর্যন্ত রেল পরিষেবার উদ্বোধন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছ। সাংসদের এই উদ্যোগে খুশী রাঢ়বঙ্গবাসী।প্রসঙ্গত, আগামী ২০২৬ রাজ্য বিধানসভাকে পাখির চোখ করে ময়দানে নেমেছে বঙ্গ বিজেপি। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ নিজেদের গড় ধরে রাখার পাশি রাজ্যে তৃণমূল সরকারকে সরাতে মরিয়া গেরুয়া বিগ্রেড। জানা গেছে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে ১০ টি বড় জনসভা করবে বিজেপি। ইতিমধ্যে সিঁদুর অপারেশনের পর মালদায় প্রধানমন্ত্রীর একটি সভা হয়েছে। এবার দ্বিতীয় সভাটি শেষমুহুর্তে সিলমহর পড়ছে শিল্পশহর দুর্গাপুরে। আগামী ১৮ জুলাই দমদমে সভা করার প্রস্তাব থাকলেও, শেষমুহুর্তে সেটি বাতিল হয়। এবং দুর্গাপুরে সেইলের নেহেরু স্টেডিয়ামে করার সিদ্ধান্ত নেয় বঙ্গ বিজেপি। ইতিমধ্যে মাঠ পরিদর্শন করেছেন বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এখান থেকে সরকারি অনুষ্ঠান মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর গাত ধরে একগুচ্ছ প্রকল্পের সূচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার মধ্যে একটি বাঁকুড়ার জয়রামবাটি পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের সূচনা।

লালমাটির দেশ বাঁকুড়া। রাঢ়বঙ্গের এই জেলায় নানান শিল্প-সংস্কৃতির বৈচিত্রে ভরা। বাঁকুড়াবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি বাঁকুড়া- দুর্গাপুর রেলপথ। রেল যোগাযোগ তৈরি হলে রাঢ়বঙ্গের জেলাগুলির উন্নতি আর একধাপ এগিয়ে যাবে। শুধু বাঁকুড়া- দুর্গাপুর নয়, বাঁকুড়া থেকে খাতড়া- ঝাড়গ্রাম রেলপথের দাবিও দীর্ঘদিনের। যদিও ওই উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার। তবে বেলিয়াতোড় ষ্টেশন থেকে দুর্গাপুর প্রায় ২৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মান হলে বাঁকুড়াবাসীর দাবি অনেকটাই মিটবে। এই দুই ষ্টেশনের মাঝে বিস্তির্ন জঙ্গলমহল হাতিদের আবাসস্থল। স্বাভাবিকভাবে রেলপথ নির্মান হলে এলিফেন্ট করিডরের বিষয়টিও সামনে আসবে। একই সঙ্গে দামোদর নদের ওপর দ্বিতীয় সেতু করার বিষয়টি আবশ্যিক রয়েছে। বর্তমান সেতুর ওপর যানবাহনের চাপ প্রচুর রয়েছে। ফলে প্রায়ই সেতু বেহাল হয়ে পড়ে। একইসঙ্গে যানজট সৃষ্টি হয়।বুধবার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, বাঁকুড়া-মশাগ্রাম রেল পরিসেবা বিষ্ণুপুরবাসীর জন্য ‘উপহার’। মঙ্গলবার রেল প্রতিমন্ত্রী রভনীত সিং জী'র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। বেলিয়াতোড় থেকে দুর্গাপুর পর্যন্ত নতুন রেলপথের ডিপিআর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। রেলমন্ত্রীর মন্ত্রক থেকে ৭০ লক্ষ টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে। এছাড়াও জয়রামবাটী পর্যন্ত ট্রেনের সূচনা শুধু সময়ের অপেক্ষা। আগামী ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে সূচনা করার আবেদনও রেখেছি। একই সঙ্গে দুর্গাপুর থেকে দুর্লভপুর পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবা চালুর জন্যও রেলমন্ত্রকে চিঠি দিয়েছি। আমি আশাবাদী, কেন্দ্র সরকারের উন্নয়নমুখী একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমেই বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর এগিয়ে যাবে। সাংসদ সৌমিত্র খাঁ'য়ের এই উদ্যোগে খুশী রাঢ়বঙ্গবাসী।

হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা




 

 rajesh pande