তৃষ্ণা অভয়ারণ্যের দশটি মনিটর লেজার্ড পাচারকালে গ্রেফতার যুবক
বিলোনিয়া (ত্রিপুরা), ১১ আগস্ট (হি.স.) : তৃষ্ণা অভয়ারণ্য থেকে বন্যপ্রাণী গায়েব হয়ে যাচ্ছে বনকর্মীদের উদাসীনতায়। চোরা শিকারিরা গায়েব করে দিচ্ছে তৃষ্ণা অভয়ারণ্যের সংরক্ষিত বন্যপ্রাণী। কোন হেলদোল নেই তৃষ্ণা অভয়ারণ্যের কর্মীদের। কোটি কোটি টাকা বরাদ
আটক এক যুবক


বিলোনিয়া (ত্রিপুরা), ১১ আগস্ট (হি.স.) : তৃষ্ণা অভয়ারণ্য থেকে বন্যপ্রাণী গায়েব হয়ে যাচ্ছে বনকর্মীদের উদাসীনতায়। চোরা শিকারিরা গায়েব করে দিচ্ছে তৃষ্ণা অভয়ারণ্যের সংরক্ষিত বন্যপ্রাণী। কোন হেলদোল নেই তৃষ্ণা অভয়ারণ্যের কর্মীদের। কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও এই অভয়ারণ্যের জন্য খরচ হচ্ছে কিনা এই নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

অভিযোগ কতিপয় বিট অফিসাররা নামকাওয়াস্তে কাজ করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। তৃষ্ণা অভয়ারণ্য রাজ্য এবং দেশের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অভয়ারণ্য। দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়া মহকুমার রাজনগরের বিশাল এলাকাজুড়ে এই অভয়ারণ্যটি। এই অভয়ারণ্যটিতে যেমন বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় গাছ এবং ঔষুধী বৃক্ষ রয়েছে ঠিক তেমনি রয়েছে বিভিন্ন ধরনের লুপ্তপ্রায় প্রাণী। যা এই অভয়ারণ্যটিকে সমৃদ্ধ করেছে।

কিন্তু চোরা শিকারিরা বন্য প্রাণীদের শিকারে মত্ত হয়ে উঠেছে। আবারও প্রমাণ মিলল সোমবার। সোনামুড়া - বিলোনিয়া সড়কের কাঁশারী কর্নারে যানবাহন চেকিং করার সময় সন্দেহজনকভাবে রাজনগরের দিক থেকে আসা এক স্কুটি চালককে দাঁড় করিয়ে চেকিং করার সময় স্কুটিতে থাকা কয়েকটি বস্তাতে দশটি মনিটর লেজার্ড (বাংলায় গোসাপ) (যাকে স্থানীয় ভাষায় গুইল বলা হয়) পাওয়া যায়। যেগুলিকে ধরা, খাওয়া এবং বিক্রি করা আইনত দণ্ডনীয়।

বন দফতরের কর্মীরা সাথে সাথে স্কুটি চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জিজ্ঞাসাবাদে ওই স্কুটি চালক এই গোসাপগুলি ধরে নিয়ে যাওয়ার কোন যথাযথ কারণ দেখাতে না পারায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার নাম আথৈ মগ (২৮)। বাড়ি পি আর বাড়ি থানাধীন রাজনগরের বাতিসা কলোনি এলাকায়। পরবর্তী সময়ে তাকে গোসাপগুলি সহ বিলোনিয়া আদালতে প্রেরণ করা হয়।

এই বিষয়ে তৃষ্ণা অভয়ারণ্যের সহকারি বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষক সুকান্ত সরকার বলেন, গ্রেফতার হওয়া আথৈ মগ জিজ্ঞাসাবাদে জানায় সে বাতিসা এলাকা থেকে এই গোসাপগুলিকে ধরেছে এবং বীরচন্দ্রমনু এলাকায় বিক্রি করার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। সুকান্ত সরকার আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আথৈ মগ বন্যপ্রাণী নিধন কাণ্ডে আরও বেশ কয়েকজনের নাম বলেছে যা তদন্তের স্বার্থে এখন বলা সম্ভব নয় বলে তিনি জানান। তবে এই কাণ্ডে যে একটি চক্র রয়েছে তিনি তা স্বীকার করেন।

এই দশটি মনিটর লেজার্ড বা গো সাপের বাজার মূল্য কি এবং কোথায় ব্যবহৃত হচ্ছে সে সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য তুলে না ধরতে পারলেও তিনি বলেন জৈববৈচিত্র রক্ষায় এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এই ধরনের প্রাণীর বাজার মূল্য নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। তিনি আরও জানান, যেহেতু গোসাপগুলি জীবিত রয়েছে তাই আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে সেগুলিকে পুনরায় তৃষ্ণা অভয়ারণ্যে নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande