লালবাগের বিডিও অফিসে টেন্ডার জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
লালগোলা, ১৯ আগস্ট (হি. স.) : মুর্শিদাবাদ জেলার লালবাগের বিডিও অফিসে শাসক ঘনিষ্ঠ এক ঠিকাদারি সংস্থাকে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া নিয়ে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মঙ্গলবার টেন্ডার জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে চলল দুই পক্ষের সংঘর্ষ। এই ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণ
লালবাগের বিডিও অফিসে টেন্ডার জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব


লালগোলা, ১৯ আগস্ট (হি. স.) : মুর্শিদাবাদ জেলার লালবাগের বিডিও অফিসে শাসক ঘনিষ্ঠ এক ঠিকাদারি সংস্থাকে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া নিয়ে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মঙ্গলবার টেন্ডার জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে চলল দুই পক্ষের সংঘর্ষ। এই ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের এই নেতা নিজের ঠিকাদারি সংস্থার নামে কাজ পেতে অন্য ঠিকাদারদের ভয় দেখানোর পাশাপাশি মারধর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন অন্যান্য স্থানীয় ঠিকাদাররা। এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

জানা গিয়েছে, লালগোলার বাসিন্দা ঠিকাদার রাজ্জাক শেখ নিকাশি নালার কাজের জন্য দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করেন। আর এতেই ক্ষুব্ধ হন বিলবড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসক দলের জনপ্রতিনিধি নাইরা বিবির স্বামী সেলিম শেখ। অভিযোগ, সেলিম শেখ তার দলবল নিয়ে বিডিও অফিস থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নিয়ে আসে রাজ্জাককে। সেখানে বচসা শুরু হয় রাজ্জাক শেখের সঙ্গে। অন্যান্য ঠিকাদাররাও এর প্রতিবাদ জানান। এরপরই রাজ্জাক কে মাটিতে ফেলে কয়েক জন মিলে তাকে বেধড়ক ভাবে পেটায়। এতেই গুরুতর জখম হন রাজ্জাক। কোনওরকমে প্রাণে বাঁচতে সেখান থেকে প্রাণপণে ছুটে পালান তিনি। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি হতে থাকায় তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এই বিষয়ে জখম রাজ্জাক বলেন, “আমার অপরাধ আমি কেন দরপত্র জমা করলাম। গোটা ব্লক অফিস জুড়ে সেলিম টেন্ডার রাজ চালাচ্ছে”। পরবর্তীতে রাজ্জাকের লোকজন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ সেলিমের ওপর পালটা আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। সেলিম এর আগে হেরোইন পাচার করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরাও পড়েন। এই বিষয়ে সেলিমের পাল্টা দাবি, “আমি রাজ্জাকের কাছে টাকা পেতাম তা চাইতে গেলে ওর দলবল আমাকে ঘিরে ধরে মারে। আমি রক্তাক্ত অবস্থায় পালিয়ে প্রাণে বাঁচি”। উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

প্রতিবাদে এদিন সোচ্চার হয়েছেন স্থানীয় ঠিকাদারেরা। এদিকে নিগৃত ঠিকাদার সহ অন্যদের তরফে এই ঘটনায় বিডিও সাহেবের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উটেছে। অবশ্য বিডিও দেবাশীষ মণ্ডল সংবাদ মাধ্যমকে জানান, “এই রকম ঘটনার খবর আমার জানা নেই। বাকিটা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে”।

হিন্দুস্থান সমাচার / সোনালি




 

 rajesh pande