গুয়াহাটি, ৬ আগস্ট (হি.স.) : নিউ বঙাইগাঁও ওয়ার্কশপ (এনবিকিউএস) ২০২৫ সালের জুলাই মাসে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, যা দক্ষ রক্ষণাবেক্ষণ, উদ্ভাবন এবং পরিচালনগত উৎকর্ষতার প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন করে।

আজ এক প্রেস বর্তায় উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানান. কোচ উৎপাদন এবং রক্ষণাবেক্ষণের দিক থেকে ওয়ার্কশপটি মোট ৭৮.৫টি কোচ আউট-টার্ন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ২৪টি আইসিএফ (নন-এসি), চারটি আইসিএফ (এসি), ৪০টি এলএইচবি (নন-এসি), ১৪টি এলএইচবি (এসি)। এর মধ্যে রয়েছে চারটি পাওয়ার কার, ছয়টি ডেমু ট্রেইলার কোচ, দুটি ডেমু ড্রাইভিং পাওয়ার কোচ, দুটি এনএমজিএইচএস (পিওএইচ), ছয়টি এনএমজিএইচএস/এনএমজিএইচ রূপান্তরিত কোচ এবং একটি ইন্টারমিডিয়েট ওভারহলিং কোচ। অতিরিক্তভাবে মাসে ১৩৪টি ওয়াগন টার্ন আউট করা হয়েছে এবং সেন্টার বাফার কাপলিং (সিবিসি) ইয়ক না থাকায় ১১টি ওয়াগন আটকে রাখা হয়েছে।

ট্রলি প্রেরণ কার্যক্রমের ক্ষেত্রে ওয়ার্কশপটি মোট ১০৮টি কোচ সেট প্রেরণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ৪৩টি এসএস ১ সেট, ২০টি এলএইচবি নন-এসি, ২৩টি এলএইচবি এসি, ৫২টি আইসিএফ নন-এসি, সাতটি আইসিএফ এসি এবং ছয়টি ডেমু সেট।

চাকা প্রেরণ বিভাগের অধীনে এনবিকিউএস ২২৩টি চাকা জোড়া প্রেরণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বিসিএন -এর জন্য ৭২ জোড়া, এলএইচবি-এর জন্য ১০৫ জোড়া, আইসিএফ-এর জন্য ৪২ জোড়া এবং চারটি বিশেষ শ্রেণির চাকা।

ওয়ার্কশপটি নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা উন্নত করার ওপর জোর দিয়েছে। জুলাই মাসে পাঁটি ওয়াগনকে টুইন পাইপ এয়ার ব্রেক সিস্টেমে রূপান্তরিত করা হয়েছে। যার ফলে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬২। উল্লেখযোগ্যভাবে, এনবিকিউএস থেকে বেরোনো সমস্ত ওয়াগন ১০০ শতাংশ টুইন পাইপসম্মত। অতিরিক্তভাবে, দরজার উচ্চতা হ্রাস এবং দরজা ব্লক করার জন্য ২৭টি ওয়াগন পরিবর্তন করা হয়েছে। যার ফলে মোট ৩৮৪টি ওয়াগনে এখন এই পরিবর্তন করা হয়েছে। অধিকন্তু, উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য ৩৫টি অভ্যন্তরীণ পণ্য তৈরি করা হয়েছে।

পর্যায়ক্রমিক ওভারহোলিং কার্যক্রমের সময় নতুন নকশা পরিবর্তন বাস্তবায়নে এনবিকিউএস ১০০ শতাংশ সম্মতি নিশ্চিত করেছে। পরিবেশগত এবং হাউস কিপিং লক্ষ্যের দিক থেকে কর্মশালাটি ৩২৬.৩৮৪ মেট্রিক টন ফেরাস এবং ৩৭.১৯৩ মেট্রিক টন নন-ফেরাস স্ক্র্যাপ নিষ্পত্তি করেছে, যা স্ক্র্যাপ নিষ্পত্তি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এবং ওয়ার্কশপের পরিচ্ছন্নতা উন্নত করতে সহায়তা করেছে।

গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবনের মধ্যে ওয়ার্কশপটি সফলভাবে বিটিপিএন ট্যাংক ওয়াগনের জন্য একটি সেফটি ভালভ টেস্ট বেঞ্চ তৈরি করেছে, যা ০.৩৫ কেজি/সেমি² থেকে ১.৪ কেজি/সেমি² পর্যন্ত চাপে সঠিক পরীক্ষার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই সিস্টেমটি সেফটি টেস্টিং দক্ষতা এবং নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি করে। এছাড়া, ওয়ার্কশপের কর্মী এবং তত্ত্বাবধায়কদের মধ্যে পরিচালনার অভিজ্ঞতা ভাগ উন্নত করার জন্য বিটিপিএন ট্যাংক ওয়াগন ভর্তি এবং নিষ্কাশন ব্যবস্থার একটি প্রোটোটাইপ মডেল তৈরি করা হয়েছে।

উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের প্রিন্সিপাল চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্য রেখে কোচ নম্বর ১২৫০০১ (এলডব্লিউএফএসি) ইউনিট এক্সচেঞ্জ পদ্ধতি ব্যবহার করে আউট-টার্নড করা হয়েছ। এই সার্বিক সংস্কারের মধ্যে ছিল সিট এবং বার্থ রেক্সিন প্রতিস্থাপন, নতুন পিভিসি মেঝে, ভিনাইল মোড়ক, ডি-ক্যাল পেইন্টিং এবং প্রধান বৈদ্যুতিক ও এয়ার ব্রেক উপাদান প্রতিস্থাপন, যা কোচ সংস্কারের একটি আধুনিক পদ্ধতি প্রদর্শন করে।

এনবিকিউএস ওয়ার্কশপ উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পরিকাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা তার প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং প্রগতিশীল উদ্যোগের মাধ্যমে অঞ্চল জুড়ে রোলিং স্টকের নিরাপত্তা, নির্ভরযোগ্যতা এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে বলে দাবি করা হয়েছে প্রেস বার্তায়।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস