আগামীকাল দেবশিল্পীর আরাধনা, সাধ ও সাধ্যের মধ্যে আয়োজন
কুমারঘাট (ত্রিপুরা), ১৬ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে অন্যতম পার্বণ বিশ্বকর্মা পূজো। সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ীঘরেও বুধবার পূজিত হবেন দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা। বিশ্বকর্মা পূজো উপলক্ষে মঙ্গলবার
দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা


কুমারঘাট (ত্রিপুরা), ১৬ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে অন্যতম পার্বণ বিশ্বকর্মা পূজো। সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ীঘরেও বুধবার পূজিত হবেন দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা। বিশ্বকর্মা পূজো উপলক্ষে মঙ্গলবার বাজারে পসরা নিয়ে বসেন বিক্রেতারা। তবে অন্যান্যবারের মত এইসময়ে ক্রেতার উপস্থিতি ছিল অনেকটাই কম।

বিক্রেতাদের ছোট্ট একটা অংশ বলেছেন বিক্রি ভাল হচ্ছে পূজোর। আবার অধিকাংশ বিক্রেতারাই বলেছেন ক্রেতার অভাবে ভাল হয়নি পূজোর বাজার। ঊনকোটি জেলার কুমারঘাটেও পূজোকে ঘিরে বাজারে রকমারি সরঞ্জাম নিয়ে হাজির হয়েছিলেন ফল, মূর্তি সহ পূজোর সরঞ্জামের বিক্রেতারা।

অনিমেষ পাল নামের এক ফল বিক্রেতা জানান, বিশ্বকর্মা পূজোর বাজার অনেকটাই খারাপ অন্যান্যবারের তুলনায়। এবছর একাদশী তিথিতে পূজো হওয়ায় অনেকেই তেমন আয়োজন করছেন না পূজোর। গতবছর যেমনটা বিক্রি হয়েছিল এবারে নেই তেমন বিক্রি। ফলে কাঁচামাল পচন ধরে ক্ষতির আশঙ্কা তাড়া করে বেড়াচ্ছে ফল বিক্রেতাদেরকে। শুধু তাইনয়, বৃষ্টির কারণেও মানুষ বের হতে পারেননি বাজারে। কয়েকদিন ধরে একনাগাড়ে বৃষ্টির প্রভাব পূজোর বাজারে পড়েছে বলে জানান অনিমেষ পাল নামের ওই ফল বিক্রেতা।

এদিকে অনিমেষ পুরকায়স্থ নামের আরও এক ফল বিক্রেতা জানালেন, এবছর পূজোয় আপেল, আঙুর, তরমুজের চাহিদা বেশি। গতবছরের তুলনায় এবারে কমদামে সামগ্রী কিনতে পারছেন মানুষ। লাভের হার কম রেখে এবারে তিনি বিক্রি করছেন ফল। এবছর আপেলের দাম সবচাইতে কম এবং আমের দর অনেটাই বেশি বলে জানান ফল বিক্রেতা।

এদিকে পূজোর বাজারে কেনাকাটা করতে এসে সুবর্ণ ভট্টাচার্য নামের এক ক্রেতা বলেন, শুধুমাত্র পূজোর বাজার করার উদ্দেশ্যেই বাজারে এসেছেন তিনি। পূজোর ঘট, পান সুপারি, গামছা সহ আনুসাঙ্গিক পূজোর বিভিন্ন সরঞ্জাম কিনেছেন তিনি। এবারে পূজোর বাজারে জিনিসের দর কিছুটা বেশি বলে জানান ওই ক্রেতা। তিনি জানান এবছর বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও নেই তেমন। মানুষের হাতে টাকা নেই তাই মানুষ বাজারে তেমন কেনাকাটা করতে আসননি।

অন্যদিকে পূজোকে ঘিরে বাজারের বিভিন্ন দোকানে বিক্রির জন্য ফুলের মালা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা। বাজারে মূর্তি বিক্রেতারাও হাজির হন বিভিন্ন সাইজের মূর্তি নিয়ে। কুমারঘাটের পাবিয়াছড়া বাজারে মূর্তি নিয়ে আসা বিভাষ পাল নামের এক বিক্রেতা জানান, পূজো উপলক্ষে বাজারে মূর্তি নিয়ে এসেছেন তিনি কিন্তু নেই তেমন বিক্রি। বড় মূর্তির চাহিদা নেই বাজারে। মানুষের হাতে টাকা না থাকার ফলেই বিক্রি তেমন হচ্ছে না বলে জানান তিনি। গত বছর পূজোতে বিক্রি ভালোই হয়েছিল, কিন্তু এবছর বিক্রি অনেকটাই কমেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে বিভিন্ন জায়গায় বিশ্বকর্মা পূজোর মণ্ডপ তৈরীতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ধলাই জেলার নালকাটাস্থিত আইটিআই কলেজে প্রশিক্ষণার্থীরা ব্যাস্ত পূজো মণ্ডপ তৈরী করতে। কলেজে প্রশিক্ষণার্থীদের নিজেরা তাদের মত করেই তৈরী করছে পূজো মণ্ডপ। এককথায় এবছর বিশ্বকর্মা পূজোর আয়োজনে একাধিক কারণে নেই তেমন আড়ম্বড়। সাধ ও সাধ্যের মধ্যে মানুষ আয়োজন করছেন দেবশিল্পীর আরাধনার।

হিন্দুস্থান সমাচার / Subhash Chandra Das




 

 rajesh pande