গুয়াহাটি, ১৮ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : ১ উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের সমস্ত ডিভিশন এবং মুখ্য কার্যালয়ে 'স্বচ্ছতা হি সেবা ২০২৫' অভিযান শুরু হয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অভিযানটি চলবে আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত। পরিচ্ছন্নতা, স্থায়িত্ব এবং জনসচেতনতা প্রচারের লক্ষ্যে সমস্ত স্টেশন, ট্রেন, ওয়ার্কশপ, কলোনি, কার্যালয় এবং অন্যান্য রেলওয়ে প্রতিষ্ঠানে পালিত হবে 'স্বচ্ছতা হি সেবা ২০২৫। এ উপলক্ষ্যে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার চেতনকুমার শ্রীবাস্তব আধিকারিক ও কর্মচারীদের স্বচ্ছতা শপথ পাঠ করানোর পাশাপাশি একটি পরিষ্কার এবং সবুজ পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
অভিযানকালে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে স্বচ্ছোৎসব থিমের অধীনে বিভিন্ন কার্যক্রমের আয়োজন করবে। এর মধ্যে স্টেশন প্রাঙ্গণ, ট্র্যাক, কলোনি এবং কার্যালয়ে সময়মতো সাফাই অভিযান, যাত্রী এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য সচেতনতামূলক অভিযান, রেল কর্মচারীদের জন্য কর্মশালা এবং অপ্রয়োজনীয় উপকরণ অপসারণের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ রয়েছে। এই প্রচার অভিযানের মূল লক্ষ্য হলো পরিবেশগত দায়বদ্ধতার সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য ৩ আর নীতি – রিডিউস, রিইউজ, এবং রিসাইকেল-এর ওপর জোর দেওয়া।
মুখ্য এবং সমস্ত ডিভিশনের বরিষ্ঠ আধিকারিক এবং কর্মচারীরা পরিচ্ছন্নতা প্রচেষ্টার সম্মিলিত মালিকানা নিশ্চিত করার জন্য যাত্রী এবং জনসাধারণদের অন্তর্ভুক্ত করে কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবেন। স্বচ্ছতা ও সাফাই-এর গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য ইন্টারেক্টিভ সেশন, পরিচ্ছন্নতার শপথ এবং সচেতনতামূলক বার্তা প্রেরণ করা হয়। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে এই গণ-আন্দোলনে কর্মচারী এবং নাগরিক উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কারণ উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের বিশ্বাস, স্থায়ী পরিচ্ছন্নতার জন্য সমাজের সকল শ্রেণির ধারাবাহিক অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
প্রচার অভিযানের উদ্বোধনী দিনে একটি বিশেষ পরিবেশ-বান্ধব ব্যবস্থা হিসেবে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে থেকে রওয়ানা দেওয়া সমস্ত ট্রেনে বেডরোল বিতরণের জন্য আইআইটি গুয়াহাটি দ্বারা তৈরি কম্পোস্টেবল ব্যাগ চালু করেছে। এই উদ্ভাবনী পদক্ষেপটি একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক কম করতে, স্থায়ী ব্যবস্থা প্রচার করতে এবং স্বচ্ছ ভারত অভিযানের জাতীয় মিশনের সাথে রেল পরিষেবাগুলিকে সংযুক্ত করার জন্য উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে। এ ধরনের পরিবেশবান্ধব উদ্ভাবনের সাথে গণ-অংশগ্রহণের মিশ্রণের মাধ্যমে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের লক্ষ্য রেলওয়ে ব্যবস্থায় স্থায়ী নতুন মানদণ্ড স্থাপন করা।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস