খড়িবাড়িতে এসএসবির জালে ৩ বাংলাদেশি
খড়িবাড়ি, ২ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : শিলিগুড়ি মহকুমার খড়িবাড়ি থেকে গ্রেফতার ৩ বাংলাদেশের নাগরিক । গত দু’মাসে এই নিয়ে মোট ১৪ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এসএসবির জালে ধরা পড়ল। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে দিল্লিতে তৈরি ভারতীয় ভোটার কার্ড। গোপন সূত্রে খব
খড়িবাড়িতে এসএসবির জালে ৩ বাংলাদেশি


খড়িবাড়ি, ২ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : শিলিগুড়ি মহকুমার খড়িবাড়ি থেকে গ্রেফতার ৩ বাংলাদেশের নাগরিক । গত দু’মাসে এই নিয়ে মোট ১৪ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এসএসবির জালে ধরা পড়ল। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে দিল্লিতে তৈরি ভারতীয় ভোটার কার্ড।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এসএসবির ৪১ নম্বর ব্যাটালিয়নের কাঁদমনিজোত ই-কোম্পানির জওয়ানদের একটি দল খড়িবাড়ির ভারত-নেপাল সীমান্ত লাগোয়া ময়নাগুড়িজোত গ্রাম থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে ৩ জনকে আটক করে। ধৃতদের কথাবার্তায় অসঙ্গতি মেলায় ধৃতদের কাঁদমনিজোত এসএসবি ক্যাম্পে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয়।

এসএসবি সূত্রে জানা গেছে, ধৃতরা একই পরিবারের সদস্য। সম্পর্কে পিতা-পুত্র। এদের প্রত্যেকে নাম বদলে বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসে বসবাস শুরু করেছে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তাদের নাম অমল চন্দ্র রায়, গৌতম চন্দ্র রায় ও প্রীতম চন্দ্র রায়। অমল চন্দ্র গৌতম ও প্রীতমের বাবা বলে জানা গেছে।

এরা সকলেই বাংলাদেশের নীলফামারীর বাসিন্দা। এদেশে এসে রায় পদবি পরিবর্তন করে বর্মন পদবি দিয়ে ভারতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করে বলে জানা গিয়েছে। অমলচন্দ্র রায়ের কাছ থেকে অমল বর্মন নামের দিল্লি থেকে তৈরি একটি ভারতীয় ভোটারকার্ড উদ্ধার করেছে এসএসবি। এছাড়া প্রত্যেকের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ভারতীয় আধারকার্ড। এসএসবি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অমলচন্দ্র রায় এর আগেও বহুবার ভারতে এসেছেন। তার দুই ছেলের মধ্যে গৌতম গতবছর ৫ ডিসেম্বরে হলদিবাড়ি বর্ডার দিয়ে চোরা পথে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। অপর ছেলে প্রীতম পাসপোর্ট ও ভিসা নিয়ে চ্যাংরাবান্ধা বর্ডার দিয়ে গতবছর ১ এপ্রিল ভারতে প্রবেশ করে। এখানে তিনজন পরিচয় গোপন করে স্থানীয় আত্মীয়দের সহযোগিতায় বসবাস শুরু করে। জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, বাংলাদেশে অপরাধমূলক কাজ করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। সেই মামলা থেকে বাঁচতে ভারতে গোপনে বসবাসের চেষ্টা করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদের পর এসএসবি ধৃতদের এদিন বিকেলে খড়িবাড়ি পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

হিন্দুস্থান সমাচার / সোনালি




 

 rajesh pande