সবার জীবনের প্রথম শিক্ষক হলেন তাদের মা-বাবা : মুখ্যমন্ত্রী
আগরতলা, ৫ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : সারা দেশের সাথে ত্রিপুরায়ও শুক্রবার জাতীয় শিক্ষক দিবস উদযাপন করা হয়। এই উপলক্ষে রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠানটি হয় আগরতলার রবীন্দ্রশতবার্ষিকী ভবনে। বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস
মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা


আগরতলা, ৫ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : সারা দেশের সাথে ত্রিপুরায়ও শুক্রবার জাতীয় শিক্ষক দিবস উদযাপন করা হয়। এই উপলক্ষে রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠানটি হয় আগরতলার রবীন্দ্রশতবার্ষিকী ভবনে। বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা দফতরের সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, দফতরের অধিকর্তা এনসি শর্মা সহ অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সবার জীবনের প্রথম শিক্ষক হলেন তাদের মা-বাবা। এরপর শিশুরা যখন বিদ্যালয়ে যায় তখন থেকে শুরু হয় অন্যরকম শিক্ষাজীবন। সেখানে রোল মডেলের ভূমিকা পালন করেন শিক্ষকরা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এখন পর্যন্ত রাজ্যে ১৯ হাজার ৮০০ জনের চাকরি হয়েছে। এর মধ্যে গত পাঁচ বছরে ৫ হাজার ২১৫ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। ১২৫ জন লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ করা হয়েছে। জেআরবিটির মাধ্যমে ৫৬৭ নন টিচিং স্টাফ নিয়োগ করা হয়েছে। শিক্ষকরা দীর্ঘদিন পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত ছিলেন। অ্যাড হক পলিসি গ্রহণ করে তাঁদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। পদোন্নতির বিষয়টি নিয়ে তিনি আধিকারিক এবং আইনজীবীদের সাথে একাধিকবার বৈঠক করেছেন। অল্প দিনের মধ্যেই পদোন্নতির বিষয়টি নিয়ে নতুন কিছু একটা ঘোষণা শিক্ষকরা শুনতে পারেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সব শিক্ষকরাই চান শিক্ষার্থীরা প্রকৃত মানুষ হোক, প্রকৃত শিক্ষিত হোক, দেশ এবং রাজ্যের উন্নয়নে সামিল হোক। তিনি আরও বলেন, শিক্ষকরা একটা গাছের মত। ছাত্ররা এই গাছ থেকে পুষ্টি পায়। এই পুষ্টি পেয়ে তারা বড় হয়। দেশ এবং রাজ্য চালান। কিন্তু তাদের ভিত্তিটা গড়ে দেন শিক্ষকরাই। এই ভিত্তিই তাদের একান্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বহু ত্যাগ ও তিতিক্ষার ফলেই শিক্ষকরা এই পেশা বেছে নিয়েছেন। তারা অন্য পেশাতেও যেতে পারতেন।

এই অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডঃ অতুল দেববর্মাকে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সম্মানে সম্মানিত করা হয়। এছাড়া ডিসি পাড়া হেমন্ত স্মৃতি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা প্রণতি দেববর্মাকে মহারানী তুলসীবতী সম্মান এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবক সমীর চক্রবর্তীকে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী সম্মানে সম্মানিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও মাধ্যমিক এবং উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট ছয় জন প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাকে নিম্ন বুনিয়াদী এবং উচ্চ বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের তিনজন প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাকে এদিন সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande